শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, ‘র্বতমানে অটোমোবাইল শিল্প উন্নয়ন নীতি প্রণয়নের কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। শিগগিরই এর খসড়া অনুমোদন করে তা চূড়ান্ত করা হবে। এর মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে আঞ্চলিক অটোমোবাইল শিল্প উৎপাদনের কেন্দ্রে পরিণত করা হবে।’
বৃহস্পতিবার ধামরাইয়ে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে ইফাদের নিজস্ব কারখানায় এসি, নন-এসি লাক্সারি বাস তৈরি কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ওই অনুষ্ঠানে ইফাদ গ্রুপের চেয়ারম্যান ইফতেখার আহমেদ টিপুর সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান, ঢাকা-২০ আসনের এমপি আলহাজ্ব বেনজির আহমেদ এবং বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান মুন্সী শাহাবুদ্দিন আহমেদ।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, ‘অটোমোবাইল শিল্পের বিকাশে প্রকৃত অর্থেই নীতিমালা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ গাড়ি সংযোজনকারী দেশের গণ্ডি পেরিয়ে গাড়ি উৎপাদনকারী দেশের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হবে।’
৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে এসি, নন-এসি লাক্সারি বাস উৎপাদন কার্যক্রম শুরু করেছে ইফাদ অটোস লিমিটেড। কারখানাটিতে ভারতের অশোক লেল্যান্ড ব্র্যান্ডসহ বিভিন্ন মডেলের গাড়ি তৈরি হবে। এর মাধ্যমে বছরে ১ হাজার বাস তৈরির টার্গেট নিধারণ করছে প্রতিষ্ঠানটি।
ইফাদ জানায়, এখন থেকে এই কারখানায় তৈরি হবে আধুনিক ও বিশ্বমানের এসি, নন-এসি বাস। এতে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ের পাশাপাশি দেশে শিল্পায়ন বৃদ্ধি ও কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে।
জানা গেছে, চার বছর আগে এই কারখানায় বাস ও ট্রাকের সংযোজন শুরু হয়েছিল।
ইফাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, দেশে পরিবহন খাতে লাক্সারি এসি ও নন-এসি বাস সরবরাহ বাড়ানোর উদ্দেশ্যে বছরে ১ হাজারেরও বেশি গাড়ির বডি তৈরি করা হবে। ভবিষ্যতে এ সংখ্যা আরো বাড়ানো হবে। এর আগে বছরে ১২ হাজার বাস ও ট্রাকের বডি সংযোজনের লক্ষ্য নিয়ে ২০১৭ সালে একই কারখানার ভিন্ন প্ল্যান্টে যাত্রা শুরু হয় ইফাদ অটোস লিমিটেডের সংযোজন কারখানা। সেখানেও ভারতের অশোক লেল্যান্ড ব্র্যান্ডের বিভিন্ন মডেলের গাড়ি সংযোজন করা হচ্ছে।
ইফাদ গ্রুপের চেয়ারম্যান ইফতেখার আহমেদ টিপু বলেন, বেসরকারি উদ্যোগে ইতিহাসে নবদিগন্তের সূচনা করেছে ইফাদ অটোস। এত দিন এই কারখানায় শুধু গাড়ি সংযোজন করা হতো। এখন বিলাসবহুল এসি, নন-এসি বাসের বডি তৈরি করা হবে। এই কারখানায় বিভিন্ন মডেলের এসি-নন এসি বাস, ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান সংযোজন হবে, তাই তার উৎপাদন খরচ আমদানিকৃত তৈরি গাড়ির চেয়েও কম হবে।
ইফাদ গ্রুপের চেয়ারম্যান বলেন, এই সংযোজন কারখানার মাধ্যমে দেশীয় কাঁচামালের সঠিক ব্যবহার, দক্ষ কর্মী সৃষ্টি, নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।