ততক্ষণে হয়ে গেছে ৩০ ওভার। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে জমে উঠেছে ব্যাট-বলের লড়াই। হঠাৎ খবর এলো করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন আয়ারল্যান্ড উলভস দলের পেসার রুহান প্রিটোরিয়াস। সঙ্গে সঙ্গেই আলাদা করে ফেলা হয় প্রিটোরিয়াসকে। বন্ধ হয়ে যায় খেলা। পরে দু’দলের প্রথম ওয়ানডে বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। শঙ্কা জেগেছিল পাঁচ ম্যাচের সিরিজটি বাতিলেরও। বিসিবি অবশ্য সিরিজের বাকি ম্যাচগুলো সূচি অনুযায়ী আয়োজন করতে চায়।
তার আগে সিরিজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে কোভিড-১৯ পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হবে। সব ঠিক থাকলে চট্টগ্রামে আগামীকাল মাঠে গড়াবে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ। বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘অনেক সময় ফলস রিপোর্ট আসে। সেরকম কিছু এখানে হয়েও থাকতে পারে। আবার, সত্যিও কোভিড হতে পারে। জৈব-সুরক্ষা বলয়ে থাকলেও কোভিড হওয়া অসম্ভব নয়। বিশেষ ব্যবস্থায় সবারই কোভিড-১৯ পরীক্ষা হবে। যাতে দ্রুতই ফল হাতে পাওয়া যায়। সব ঠিক থাকলে সূচি অনুযায়ী দ্বিতীয় ম্যাচ হবে।’
গতকাল রুহান প্রিটোরিয়াস ম্যাচে নেন ১ উইকেট। আইরিশ পেসারের করোনা পজেটিভ হওয়া অনেকটা অপ্রত্যাশিতই। সিরিজ দেখতে চট্টগ্রামে রয়েছেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। তিনি বলেন, ‘হুট করেই জানা গেল, ওদের একজনের কোভিড পজিটিভ। মেইলটা এসেছে সাড়ে ১০টার দিকে। ততক্ষণে খেলা অনেকক্ষণ হয়ে গেছে। জানামাত্রই ওই ক্রিকেটারকে আলাদা করে দেয়া হয়েছে। দুই দল আলোচনা করেই ম্যাচ পরিত্যক্ত করা হয়েছে।’ মিনহাজুলের ধারণা, করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট ভুলও আসতে পারে। তিনি বলেন, ‘ওরা (আয়ারল্যান্ড উলভস) এখানে আসার পর ওদের একজন ক্রিকেটারের পজেটিভ এসেছিল। তাকে ২৪ ঘণ্টা আলাদা রাখা হয়েছিল। পরের পরীক্ষায় নেগেটিভ আসে। এবারও তেমন কিছু হতে পারে। যে ক্রিকেটারের পজেটিভ এসেছে, তার কোনো উপসর্গ নেই। হাঁচি-কাশি-জ্বর, কিছুই নেই। কিছু থাকলে তো বোলিং করতে পারতো না। একদম ঠিক আছে সে।’