রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান আলহাজ রফিকুল ইসলাম বলেছেন, ৭ই মার্চ বাঙালি জাতির জীবনের শ্রেষ্ঠদিন। এ দিন স্বাধীনতার মহাকাব্য পাঠ করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান। যে স্বাধীনতার জন্য ত্রিশ লাখ মানুষ প্রাণ দিয়েছে, লাখ লাখ মা-বোনের ওপর জুলুম-অত্যাচার করা হয়েছে। এই স্বাধীনতা অর্জন ও নিপীড়িত মানুষের অধিকারের কথা বলতে গিয়ে বারবার জেলে যেতে হয়েছে বাঙালির মহান নেতা বঙ্গবন্ধুকে। সেই স্বাধীনতা অর্জনের পর মুক্তভূমিতে প্রাণ ভরে নিঃশ্বাস নেয় বাঙালি। আর ৭ই মার্চের মহান ভাষণ ছিল আমাদের বাঙালি জাতির জেগে ওঠার ও মুক্তির চূড়ান্ত সনদ। ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণকে ওয়ার্ল্ড ডকুমেন্টারি হেরিটেজ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেস্কো। অথচ এই ৭ই মার্চের ভাষণ একটা সময়ে এই স্বাধীন দেশে প্রচার ও বাজানো ছিল নিষিদ্ধ।
তিনি আরো বলেন, এ ভাষণ সব ধরনের অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে বজ্রতুল্য ঘোষণা। যা কেবল একাত্তরেই নয়, বর্তমান সময়েও আমাদের প্রাণিত ও উজ্জীবিত করে চলেছে। বঙ্গবন্ধু আমাদের এগিয়ে যাওয়ার পথ দেখিয়ে গেছেন- তার দেখানো পথেই আমরা গড়ে তুলবো ‘সোনার বাংলা’। গতকাল সন্ধ্যায় রূপগঞ্জের কায়েতপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ পালনের প্রস্ততিসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। কায়েতপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী সামসুল আলমের সভাপতিত্বে কায়েতপাড়ার নাওড়াস্থ চেয়ারম্যানের অস্থায়ী কার্যালয় মাঠে আয়োজিত আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, রূপগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি খন্দকার আবুল বাশার টুকু, নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের সদস্য ও কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন প্রত্যাশী মিজানুর রহমান প্রমুখ।