রাত পোহালেই রোববার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ব্রিগেড জনসভা। মুখ্যমন্ত্রী, তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওইদিন শহরে থাকছেন না। শিলিগুড়িতে তার জনসভা আছে। কিন্তু ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে প্রাক্তন পুরপিতাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে মমতার মুখ আঁকা ফেস্টুন, পোস্টারে যেন শহর সয়লাব করে দেয়া হয় যাতে মোদি বুঝতে পারেন তিনি মমতার শহরে এসেছেন। রোববারের ব্রিগেডের আকর্ষণ অবশ্য মোদির সঙ্গে আর এক জন। বাঙালির মহাগুরু মিঠুন চক্রবর্তী। শেষ মুহূর্তে অঘটন না ঘটলে মিঠুন ব্রিগেডে থাকছেন। সেদিনই কি আনুষ্ঠানিক ভাবে মিঠুন বিজেপিতে যোগ দেবেন? সময় এই প্রশ্নের জবাব দেবে। তবে টালিগঞ্জের দুই অভিনেতা যশ দাসগুপ্ত ও পায়েল সরকারও থাকবেন মোদির মঞ্চে। সরস্বতী পুজোর দিন সকালে আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত মুম্বাইয়ে মিঠুন চক্রবর্তীর বাড়িতে গিয়েছিলেন।
যদিও দুজনে পুরোনো বন্ধুত্বের দোহাই দিয়েছিলেন, কিন্তু রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা ডাল মে কুচ কালা দেখেছিলেন। মিঠুনের ব্রিগেডে থাকা নিয়ে হয়ত বৃত্তটা সম্পুর্ন হবে। মোদির সভা নিয়ে বঙ্গ বিজেপিতে এখন সাজ সাজ রব। বিজেপির প্রার্থীতালিকা মোদির সফরের পর রোববার সন্ধ্যায় অথবা সোমবার দুপুরে প্রকাশিত হবে। তা নিয়েও উত্তেজনার প্রহর গুনছে পশ্চিম বাংলা।