× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ফোরবস ম্যাগাজিনের খবর / টিকা নেয়ার পর মায়ের বুকের দুধে অ্যান্ডিবডি পাওয়া গেছে

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(৩ বছর আগে) মার্চ ৬, ২০২১, শনিবার, ১০:১১ পূর্বাহ্ন

টিকা দেয়ার পরে মায়ের বুকের দুধে কোভিড-১৯ এর অ্যান্টিবডি পাওয়া গেছে। এর ফলে অন্তঃসত্ত্বা নারী এবং বুকের দুধ পান করার এমন নারীদের জন্য করোনার টিকার সুপারিশ করা হয়েছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন ফোরবস ম্যাগাজিন। এতে বলা হয়, এই দুই শ্রেণির নারীদের টিকা নেয়ার ফলে নিরাপত্তা ও কার্যকারিতা নিয়ে প্রাথমিকভাবে যে তথ্য মিলছে তা আশাব্যাঞ্জক। প্রথমদিকে রক্তপ্রবাহের মধ্যে যে স্পাইক প্রোটিন তৈরি হয় তা প্লাসেন্টা-বাইন্ডিং প্রোটিনের ওপর প্রভাব ফেলবে। এর ফলে নারীর গর্ভধারণে সমস্যা দেখা দেবে অথবা উর্বরা শক্তি নষ্ট হবে বলে মনে করা হয়। কিন্তু দ্রুততার সঙ্গে সেই ধারণাকে ভুল বলে মনে করা হচ্ছে। যেসব অন্তঃসত্ত্বা স্বাস্থ্যকর্মী বা নার্স এই টিকা নিয়েছিলেন তারা এই টিকা নেয়ার সুপারিশ করছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল (সিডিসি) এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এক্ষেত্রে অন্তঃসত্ত্বা নারীদের জন্য নির্দেশনা দিয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় করোনার টিকার কার্যকারিতা বা নিরাপত্তার পরিপূর্ণ ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা করা হয়নি। এসব পরীক্ষা শুরু হয়েছে ফাইজার/বায়োএনটেকের টিকা দিয়ে। পরীক্ষার ফল আসতে পারে সামনের মাসগুলোতে।
এখন পর্যন্ত যেসব নারী অন্তঃসত্ত্বা তাদের জন্য টিকার ঝুঁকি এবং কার্যকারিতার বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়া যায় না। তারা বলছেন, বুকের দুধ পান করলে তার মাধ্যমে মানব ভ্রুণের কাছে প্লাসেন্টা দিয়ে যে রক্তপ্রবাহিত হয় সেটার সঙ্গে বুকের দুধ থেকে সরাসরি যেসব উপাদান বাচ্চার শরীরে ঢোকে দুটির কার্যকারিতায় পার্থক্য আছে। ফোরবস লিখেছে, মায়ের গর্ভাশয়ে যখন ভ্রুণ অব্যাহতভাবে বড় হতে থাকে, তখন বিশেষ বিশেষ উপাদান তার ওপর ভিন্ন রকম প্রভাব ফেলতে পারে। এই পর্যায়ে ভ্রুণের কাছে প্লাসেন্টা দিয়ে রক্তপ্রবাহের মাধ্যমে যেসব উপাদান পৌঁছে যায় তার সঙ্গে বুকের দুধ থেকে বাচ্চার পরিপাকতন্ত্রে ওই উপাদানের প্রভাব অনেকটা ভিন্ন হতে পারে। এ জন্য ফেজ ২/৩ পর্যায়ে অন্তঃসত্ত্বা নারীদের ওপর টিকার পরীক্ষা করা হচ্ছে ৭ থেকে ১০ মাসের অন্তঃসত্ত্বাদের ওপর। এর মাধ্যমে করোনার টিকা দেয়ার পর মা ও অনাগত সন্তান জন্ম দেয়ার পর দু’জনের দেহের অ্যান্টিবডি পরীক্ষা করা হবে। তা থেকে ফল পাওয়া যাবে যে, কি প্রভাব ফেলছে এক্ষেত্রে।
যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত তিনটি টিকার অনুমোদন দেয়া হয়েছে। তা হলো ফাইজার, মডার্না এবং অক্সফোর্ড/এস্টাজেনেকার টিকা। তবে এর মধ্যে কোনোটিই এখন পর্যন্ত বাচ্চাদের নেয়ার জন্য অনুমোদন দেয়া হয়নি। কিছুদিনের মধ্যে অনুমোদন দেয়া হতে পারে। বাচ্চারাও করোনা ভাইরাস সংক্রমণে অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকিতে আছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর