সামুদ্রিক স্থানিক পরিকল্পনা (মেরিন স্পাটাল প্লানিং বা এমএসপি) নিয়ে আগামী পাঁচ বছর যৌথভাবে কাজ করবে ভারত এবং নরওয়ে। প্রাথমিকভাবে প্রকল্পের পরীক্ষামূলক স্থান হিসেবে ভারতের লক্ষদ্বীপ ও পাডুচেরিকে বাছাই করা হয়েছে। ভারতের মিনিস্ট্রি অব আর্থ সাইন্সেস এর পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রজেক্ট স্টিয়ারিং কমিটি উভয় দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সম্প্রতি ভার্চুয়াল বৈঠক করেছে। এরপর সমুদ্রে জ্বালানী, পরিবহন, মৎস, জলজ পালন, পর্যটনের মতো খাতগুলোয় মানুষের কার্যক্রম নিরাপদ এবং টেকসইভাবে সম্পন্ন করতে দেশদুটি একটি পরিকল্পনা তৈরি করেছে।
২০১৯ সালে ভারত ও নরওয়ের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারক চুক্তির আওতায় ইন্দো-নরওয়ে ইন্টেগ্রেটেট ইনিশিয়েটিভের অংশ হিসেবে এমএসপি পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে তারা। ভারতের মিনিস্ট্রি অব আর্থ আরো জানিয়েছে, উপকূলীয় অঞ্চলগুলোয় অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে টেকসইভাবে সামুদ্রিক সম্পদ ব্যবহারে সহায়তা আরো বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশদুটি। মেরিন স্পাটাল প্লানিং (এমএসপি) হিসেবে পরিচিত এ উদ্যোগটি ভারতের ন্যাশনাল রিসার্চ ফর কোস্টাল রিসার্চের (এনসিসিআর) মাধ্যমে বাস্তবায়ন করবে মিনিস্ট্রি অব আর্থ সাইন্সেস (এমওইএস)।
এমওইএস জানিয়েছে, ‘প্রাথমিক ধাপে পাডুচেরি এবং লক্ষ্যদ্বীপের জন্য মেরিন স্পাটিয়াল কাঠামো তৈরি করবে এনসিসিআর। প্রকল্পটির গবেষণা ও পরিকল্পনার জন্য প্রাথমিকভাবে বছরে ৮-১০ কোটি রূপি বিনিয়োগ করবে ভারত। পরিবেশগতভাবে সংকটাপন্ন অবস্থানে থাকা এ অঞ্চল দুটির অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে ভবিষ্যতে দেশের অন্যান্য স্থানেও এ অভিজ্ঞতা প্রয়োগ করা হবে।
এমএসপি প্রকল্প নিয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে বিশ্বব্যাংক এবং জাতিসংঘের এনভায়রনমেন্ট প্রোগ্রাম (ইউএনইপি)। এটি ভারতের উপকূলীয় অঞ্চলের জন্য সামাজিক উপকারী পদক্ষেপ হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এমএসপি উদ্যোগটি এমওইএসের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হবে এবং নরওয়ের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে তা বাস্তবায়ন করবে নওরেজিয়ান এনভায়রনমেন্ট এজেন্সি।
উল্লেখ্য, এমএসপি মূলত একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে সমুদ্রের বহুমুখি ব্যবহারকারীদের একত্র করা হয়। জ্বালানী, শিল্প, সরকার, সংরক্ষণ ও বিনোদনের মতো ব্যবহার এতে অন্তর্ভুক্ত। সামুদ্রিক সম্পদগুলো কিভাবে আরো টেকসইভাবে ব্যবহার করা যায় তা মূলত এই এমএসপির মাধ্যমেই নির্ধারণ করা হয়।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস্