থমথমে কসবা। শুক্রবার দুপুরে এলাকার সংসদ সদস্য, আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হকের সামনে সংঘাত-সহিংসতার পর রাতেও নেতাদের বাড়িতে হামলা হয়। তবে এসব ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি। আটক হয়নি কেউ। ঘটনার জন্য পুলিশের ব্যর্থতার অভিযোগ উঠেছে জোরেশোরে। থানার ওসিকে এমন ঘটনার আভাস ইঙ্গিত আগে দেয়া হলেও নেয়া হয়নি কোন ব্যবস্থা। শুক্রবার এক বছর পর এলাকায় আসেন মন্ত্রী। এসময় মেয়র মনোনয়ন নিয়ে মুখোমুখি অবস্থানে থাকা বর্তমান মেয়র, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এমরান উদ্দিন জুয়েল ও উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক আবদুল আজিজ তাদের সমর্থকদের নিয়ে মন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে এসে বিরোধে জড়িয়ে কসবা সদরকে রণক্ষেত্রে পরিণত করেন।
বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর এবং আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। মন্ত্রীর স্মার্ট কার্ড বিতরণ অনুষ্ঠান গুটিয়ে ফেলা হয় দ্রুত। পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠায় অনুষ্ঠানস্থল থেকে দ্রুত মন্ত্রী তার গ্রামের বাড়ি পানিয়ারূপে চলে যান। সকালে শুরু হওয়া এই ঘটনার জেরে রাতে শাহপুর গ্রামে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক কাজী আজহারুল ইসলামের বাড়িতে হামলা হয়। হামলা হয় শাহপুর বাজারে স্থানীয় কাউন্সিলর জসিমের অফিস ও দোকানপাটে। এ দু’জন মেয়র এমরানের পক্ষের। স্থানীয়রা জানান, মন্ত্রীকে বরণ করতে কসবা সদরের টিআলী’র বাড়ির মোড় থেকে উপজেলা পরিষদ পর্যন্ত রাস্তার দু’পাশে আজিজের সমর্থকরা অবস্থান নেয়। আর জুয়েলের সমর্থকরা ছিলো স্বাধীনতা চত্বর থেকে উপজেলা পরিষদ পর্যন্ত। দু’পক্ষের এই মহড়ায় উত্তেজনা বিরাজ করছিলো সকাল থেকে। কিন্তু এমন ঘটনার আশঙ্কা আগে থেকে করা হলেও এবং ওসিকে স্থানীয় সুধিসমাজের অনেকে বিষয়টি জানালেও থানার ওসি আলমগীর ভূইয়া ছিলেন নীরব। এনিয়ে কোন পদক্ষেপ নেননি। তবে ওসি’র দাবি ঘটনার বিষয়ে আগাম কোন তথ্য তার কাছে ছিলো না। নিরাপত্তা ব্যবস্থার কোন ঘাটতি ছিলো না বলেও দাবি তার। ওসি বলেন, মন্ত্রী ঘটনার বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বলেছেন। তবে এখন পর্যন্ত কেউ আটক হয়নি। মামলাও হয়নি। কেউ অভিযোগ দিলে মামলা হবে বলে জানান তিনি।