× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার , ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা /২৭ বছর আগে ধর্ষণ, মামলা এখন

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(৩ বছর আগে) মার্চ ৬, ২০২১, শনিবার, ৩:৪৮ অপরাহ্ন

সন্তান পিতৃপরিচয় জানতে চাইছে। সেই পরিচয় উদ্ধার করতে দু’ব্যক্তির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা করেছেন এক নারী। এতে তিনি দাবি করেছেন, এখন থেকে ২৭ বছর আগে তাকে ধর্ষণ করা হয়। এরপর বেশ কয়েকবার তাকে ধর্ষণ করা হয়। এতে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন তিনি। এ অভিযোগে মামলা করার পর চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। এ খবর দিয়েছে ভারতের সরকারি বার্তা সংস্থা পিটিআই। অভিযোগে ওই নারী বলেছেন, ২৭ বছর আগে তার বয়স তখন ১২ বছর।
ওই সময় তাকে ২ ব্যক্তি ধর্ষণ করার পর তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। এর ফলে একটি পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। সেই সন্তান এখন তার কাছে পিতার নাম জানতে চাইছে। সেই পরিচয় নির্ধারণ করতে তিনি এই মামলা করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের উত্তর প্রদেশের শাহজাহানপুরে।  শনিবার এসপি সঞ্জয় কুমার বলেছেন, ওই সময় ভিকটিম শাহজাহানপুরে তার বোন ও দুলাভাইয়ের সঙ্গে অবস্থান করছিলেন। একদিন তারা বাড়ি থেকে বাইরে বের হন। এমন সময় স্থানীয় নাকি হাসান নামে একজন ওই বাড়িতে প্রবেশ করে তাকে একা পেয়ে ধর্ষণ করে। ভিকটিম মামলায় আরো দাবি করেছেন নাকি হাসানের ছোটভাই গুড্ডুও তাকে ধর্ষণ করেছে। এই দুই ভাই তাকে বিভিন্ন সময়ে ধর্ষণ করেছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, যখন ভিকটিম বুঝতে পারেন তিনি অন্তঃসত্ত্বা তখন তার বয়স ১৩ বছর। তিনি ১৯৯৪ সালে একটি পুত্র সন্তান জন্ম দেন। নবজাতককে উদমপুরে নিজের গ্রামে এক ব্যক্তিকে দিয়ে দেন তিনি। অন্যদিকে ভিকটিমের দুলাভাইয়ের বদলির নির্দেশ হয়। তারা চলে যান রামপুর। ভিকটিমও সেখানে চলে যান। সেখানে গাজিপুর জেলার এক ব্যক্তির সঙ্গে তাকে বিয়ে দেন তার দুলাভাই। কিন্তু এর ১০ বছর পরে তার স্বামী জানতে পারেন, তিনি ধর্ষিত হয়েছিলেন। ফলে তাকে তালাক দেয় তার স্বামী। এ অবস্থায় উদমপুরে ফিরে যান ভিকটিম। ওদিকে বড় হতে থাকে অন্যের কাছে রেখে আসা তার ছেলে সন্তানকে। সে বড় হয়ে উঠায় তার পিতামাতার নাম জানতে চায়। তার কাছে মায়ের নাম বলা হয়। একদিন ওই ছেলেটি ভিকটিমের সঙ্গে সাক্ষাত করে। পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে পারে সে। ফলে সে পিতার নাম পরিচয় নির্ধারণের দাবি জানায়। এ অবস্থায় শুক্রবার সন্ধ্যায় সদরবাজার পুলিশ স্টেশনে দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে গণধর্ষণের মামলা রেকর্ড হয়েছে। এসপি সঞ্জয় কুমার বলেছেন, পুলিশ এ ঘটনা তদন্ত করছে। ওই ছেলেটির ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে। এর পর নির্ধারণ করা হবে তার পিতৃপরিচয়।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর