নিউজিল্যান্ডের মাটিতে কোনো ফরম্যাটের ক্রিকেটেই জয় নেই বাংলাদেশের। এর অন্যতম কারণ, প্রতিকূল কন্ডিশন। বিষয়টি মেনেই সেখানে লড়াই করতে হয়। তবে জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নুর বিশ্বাস নিজেদের সেরাটা দিতে পারলে ইতিহাস পরিবর্তন করা যাবে। গতকাল রাজধানীর একটি পাঁচ তারা হোটেলে দেশের ঐতিহ্যবাহী ক্লাব মোহামেডানের নির্বাচনে ভোট দিতে হাজির হয়েছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক এই অধিনায়ক। সেখানে তিনি বলেন, ‘নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশন অনেক কঠিন এটা অবশ্যই আপনাদের মাথায় রাখতে হবে। তবে সবাই যদি সেরাটা দিতে পারে আমরা আশাবাদী।’ ২০০১ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত নিউজিল্যান্ডে ৫ টি টেস্ট সিরিজ খেলেছে টাইগাররা। কিন্তু একটি ম্যাচেও জয়ের দেখা পায়নি।
এবার সফরে টেস্ট নেই। খেলবে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ। এখানেও জয়শূন্য টাইগাররা। ২০০৭ থেকে এখন পর্যন্ত ৪ ওয়ানডে সিরিজেও মিলেছে শুধু হারই। এই ফরম্যাটে বাংলাদেশ বিশ্বের প্রায় সব দেশেই নিজেদের যোগ্যতার প্রমাণ রেখেছে। তাই নয়া ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল প্রত্যয়ী সেই ইতিহাস পরিবর্তনের। ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচ মাঠে গড়াবে ২০শে মার্চ। অন্যদিকে টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের সামনেও একই চ্যালেঞ্জ। নিউজিল্যান্ডে ২০১০ এ প্রথম টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলে বাংলাদেশ দল। এরপর ৭ বছর পর ২০১৭ তে খেলেছে দ্বিতীয়টি। কিন্তু সেখানেও দল জয়ের দেখা পায়নি।
অন্যদিকে জাতীয় দলের পাইপলাইন এখন হাই পারফরম্যান্স ইউনিট (এইচপি)। এখানে খেলা ক্রিকেটাররা দেশের ক্রিকেটের ভবিষ্যত। চট্টগ্রামে এইচপি মুখোমুখি হয়েছে আয়ারল্যান্ড উলভসের। চার দিনের ম্যাচে দারুণ জয় দিয়েই শুরু করে তরুণ টাইগাররা। এইচপির সম্ভাবনা নিয়ে নান্নু বলেন, ‘আমরা একটা চারদিনের ম্যাচ খেলেছি ওদের নিয়ে। গত এক বছর আমরা এইচপির ক্যাম্প, ম্যাচ আয়োজন সেভাবে করতে পারিনি। খুবই অল্প সময়ের মধ্যে দলটা তৈরি করা হয়েছে। চারদিনের ম্যাচে ওরা বেশ ভালো ক্রিকেট খেলেছে। খুব ভালো কিছু পারফর্মার আমরা ওখানে পেয়েছি। আমাদের এইচপির কার্যক্রম হলো আগামীদিনের জন্য খেলোয়াড় তৈরি করা। সে হিসেবেই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি আছে। এখান থেকে আমরা কিছু প্লেয়ারকে এমনভাবে তৈরি করছি যাতে এক থেকে দুই বছরের মধ্যে জাতীয় দলের জন্য বিবেচিত হতে পারে।’
এছাড়াও মিনহাজুল আবেদিন নান্নু দেশের ঐতিহ্যবাহী ক্লাব মোহামেডানে দীর্ঘ দিন নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাই তার এই ক্লাবের সঙ্গে রয়েছে আবেগেরও একটি সম্পর্ক। ক্লাবের ক্রিকেট ছাড়াও ফুটবলেও তাই সাবেক এই ক্রিকেটারের তিক্ষ্ণ নজর। নান্নু বলেন, ‘মোহামেডান ফুটবলে কেমন খেলছে এটা কিন্তু দেখি। সে হিসেবে মোহামেডানের পারফরম্যান্স সবসময় অ্যানালাইসিস করা হয়। আমরা যতটুকু পারি চেষ্টা করি ক্লাবগুলোর মধ্যে সেরা হয়ে থাকার। এবার কুমিল্লাতে আবাহনীর সঙ্গে যে ম্যাচটা খেলেছি এটা যথেষ্ট উপভোগ করেছি। মনে হচ্ছিল আগের ফুটবলটা দেখছি। বিশ্বাস করি যে ক্লাবের সুদিন আগামীতে ফিরবে। আর সব বিভাগেই আগের ঐতিহ্য বজায় থাকবে।’