× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

নির্বাচনে না থেকেও ছিলেন লোকমান

খেলা

স্পোর্টস রিপোর্টার
৭ মার্চ ২০২১, রবিবার

লিমিডেট কোম্পানি হওয়ার পর মোহামেডানে প্রথম নির্বাচন হয় ২০১১ সালে। দুই বছর পর ২০১৩ সালে হয় দ্বিতীয় নির্বাচন। এরপর নির্বাচন চলে যায় হিমাগারে। আদালতে একটি পক্ষের করা মামলা নির্বাচনের পথে বাধা তৈরি করে। ২০১৯ সালে ক্লাবটির নির্বাচন পরিচালনার জন্য আদালত দায়িত্ব দেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির তৎকালীন সভাপতি এডভোকেট এম এ আমিন উদ্দিনকে (বর্তমানে অ্যাটর্নি জেনারেল)। অনেক চেষ্টা করে অবশেষে নির্বাচনের ব্যবস্থা করেন তিনি। গতকাল লা মেরিডিয়ান হোটেলে অনুষ্ঠিত হয় এই নির্বাচন। পরিচালক পদে ৫১ জন ও সভাপতি পদে তিনজন মনোনয়ন ফরম তোলেন।
দুই প্রার্থী ফরম জমা না দেয়ায় সভাপতি পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আবদুল মুবীন। তবে পরিচালকের ১৬ পদের বিপরীতে ২০জন প্রার্থী হওয়ায় কাল অনুষ্ঠিত হয় এই নির্বাচন। যেখানে সরব ছিলেন ক্লাবের সদ্য বিদায়ী ডাইরেক্টর ইনচার্জ লোকমান হোসেন ভূঁইয়া। আব্দুস সালাম মুশের্দী, কামরুন নাহার ডানা, সাজেদ এ এ আদেল ও হানিফ ভূঁইয়াকে ভোট না দিতে প্রচারণা চালান লোকমানের অনুসারীরা।
হাইকোর্ট থেকে অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি করা হয় অ্যাডভোকেট আমিনউদ্দিনকে। তার মূল দায়িত্ব ছিল নির্বাচন সম্পন্ন করা। সফলভাবে এজিএম শেষ করার পর অনেকটাই নির্ভার আমিনউদ্দিন বলেন, ‘কোর্ট আমাকে সভাপতির দায়িত্ব দিয়েছে। তবে আমি আগে থেকেই মোহামেডানের সমর্থক। অতীতের গ্লানি, ব্যর্থতা ভুলে ক্লাব পূর্বের গৌরব পুনরুদ্ধার করবে এজিএমে সদস্যরা এতে একমত প্রকাশ ও সহায়তা করার অঙ্গীকার করেন। মোহামেডান ক্লাবে ক্যাসিনো কাণ্ডের পর অসুস্থ শরীরে হাল ধরেছিলেন প্রয়াত বাদল রায়। বাদল রায়ের স্থলে এবার তার মেয়ে মোহামেডানের স্থায়ী সদস্য হয়েছেন। বার্ষিক সাধারণ সভায় উপস্থিত হয়ে গঙ্গোত্রী রায় বৃষ্টির মন খারাপই হয়েছে। দুঃসময়ে অবদান রাখা বাদলের নাম এজিএমে কোনো রিপোর্টে ও কারো বক্তব্যে উল্লেখ হয়নি। আট বছরের বেশি সময় বার্ষিক সাধারণ সভা না হওয়ায় এ সভাতেই অডিট রিপোর্ট ওঠে। আট বছরে মোহামেডান ক্লাবের আয় ৫৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে ২৭ লাখ টাকা ক্লাবের বর্তমান তহবিলে রয়েছে। বাকি অর্থ ব্যয়। মোহামেডানের হিসাবের স্বচ্ছতা, ক্যাসিনো কাণ্ড নিয়ে এজিএমে যেমন ঝড় ওঠার কথা ছিল, তেমন কিছুই হয়নি।
এজিএমএ-এ আলোচনা হয়নি। এমনকি যার জন্য ক্লাবে ক্যাসিনো কলঙ্ক লেপন হয়েছে সেই লোকমানই নির্বাচনে পেছন থেকে কলকাঠি নাড়েন। নির্বাচনে পরাজিত হয়ে এমনই ইঙ্গিত করেছেন কামরুন নাহার ডানা। এ বিষয়ে তিনি বলেন, লোকমান দীর্ঘদিন ক্লাব চালিয়েছে। তার নিজের অনেক ভোটার। নির্বাচনে সে যে দিকে থাকবে তারাই বিজয়ী হবে।’
মোহামেডান ক্লাব দীর্ঘদিন ফুটবল লীগে চ্যাম্পিয়ন হতে পারে না। ক্রিকেট লীগেও শিরোপা নেই বেশ কয়েক বছর। বড় দুই ডিসিপ্লিনে শিরোপা পুনরুদ্ধার করাই নতুন পরিচালনা পর্ষদের মূল চ্যালেঞ্জ মনে করছেন সদ্য বিদায়ী পরিচালক খন্দকার জামিল। তিনি বলেন, ‘ফুটবলে এখন আমরা টেবিলে চারের দিকে আছি। সামনের বছর ভালো দল গড়লে অবশ্যই চ্যাম্পিয়ন ফাইট দেয়া সম্ভব।’ অন্তর্বর্তীকালীন কমিটির অধীনে ফুটবল মাঠে মোহামেডান ভালো অবস্থায় আছে। সে প্রসঙ্গ টেনে সাব্বির বলেন, ‘ভালো ব্যবস্থাপনার অধীনে ১০ নম্বর দল মোহামেডান এখন লীগ টেবিলের পাঁচে। এটি টিমওয়ার্কের ফল। কোচ আমাদের ওপর খুবই খুশি। কারণ, আমরা কোথাও হস্তক্ষেপ করি না।’ সাব্বিরের আশা, নতুন বোর্ড ক্যাসিনো কাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের বিচার করবে। আরেক সাবেক জাতীয় ফুটবলার ইমতিয়াজ সুলতান জনি বলেন, ‘আমার বিশ্বাস এই নির্বাচনের মাধ্যমে মোহামডানের সুদিন ফিরবে।’

 
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর