চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী চিরকুট লিখে আত্মহত্যা করেছেন। শুক্রবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে নিজ বাড়িতে তিনি আত্মহত্যা করেন। চিঠিতে তিনি লেখেন, কেউ যদি কষ্ট পেয়ে থাকেন, পারলে মাপ করে দিয়েন। আমার বেঁচে থাকার কোনো ইচ্ছা নেই। ওই শিক্ষার্থীর নাম নাইমুল হাসান। তিনি রসায়ন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় উপজেলার সোনাইপুল গ্রামে। বাবা মো. কামাল হোসেন, সেনাবাহিনীতে কর্মরত।
জানা যায়, পারিবারিক কোনো সমস্যা ছিল না। মানসিক দুশ্চিন্তার কারণে এমনটি করে থাকতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। সেনাবাহিনীর অফিসার পদে দুইবার ও মেডিকেলে ভর্তির জন্য দুইবার চেষ্টা করেও সফল হননি নাইমুল। এজন্য মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন ওই শিক্ষার্থী। চিরকুটে নাইমুল হাসান লিখেছেন, আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। আমার বেঁচে থাকার জন্য কোনো ইচ্ছা নেই, তাই আমি এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছি। ডারউইন বলেছিলেন- survival of the fittest, but I not even fit. আমার জন্য কেউ যদি কখনো কষ্ট পেয়ে থাকেন, পারলে মাপ করে দিয়েন। তিনি আরো লিখেছেন, আম্মু আমাকে মাপ করে দিয়েন, লিমনের খেয়াল রাখিয়েন। আব্বু আমাকে সফল করার জন্য অনেক কষ্ট সহ্য করেছেন, আমি পারিনি, তাই ক্ষমাপ্রার্থী। জানা যায়, শান্ত স্বভাবের নাইমুল খুব মেধাবী ছাত্র ছিলেন। জেএসসি, এসএসসি ও এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছেন।
রামগড় থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মনির হোসেন বলেন, প্রাথমিকভাবে এটাকে আত্মহত্যা বলে মনে হচ্ছে। আমরা লাশ উদ্ধার করেছি। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।