× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সিলেটে মেয়রের নীরবতা পরিবহন শ্রমিকদের ফের হুঁশিয়ারি

প্রথম পাতা

ওয়েছ খছরু, সিলেট থেকে
৭ মার্চ ২০২১, রবিবার
ফাইল ছবি

সিলেটে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর ওপর ক্ষুব্ধ পরিবহন শ্রমিকরা। কথা দিয়েও কথা না রাখায় মেয়রের বিরুদ্ধে এই ক্ষোভ। পরিবহন শ্রমিক নেতারা জানিয়েছেন- শ্রমিকদের আন্দোলন দমিয়ে রাখতেই ‘সমঝোতা’ বৈঠকের নামে প্রহসন করা হয়েছে। এদিকে- শ্রমিকরা হুঁশিয়ারি দিলেও এখনো নীরব রয়েছেন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। আপাতত নগরের চৌহাট্টা থেকে আম্বরখানা পর্যন্ত রাস্তার কাজের দিকে মনোনিবেশ করেছেন তিনি। সিলেট নগরীর চৌহাট্টা এলাকার মাইক্রোবাস ও প্রাইভেটকার স্ট্যান্ড উচ্ছেদকে কেন্দ্র করেই মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর সঙ্গে বিরোধ পরিবহন শ্রমিকদের। উত্তর চৌহাট্টা নামের ওই স্ট্যান্ডের কারণে চৌহাট্টা থেকে আম্বরখানা পর্যন্ত রাস্তার কাজ করতে পারছিলেন না মেয়র। এজন্য তিনি শ্রমিকদের নিয়ে কয়েক দফা বৈঠক করেন।
বৈঠকে শ্রমিকরা দাবি তুলেছিল- ওই এলাকায় পতিত থাকা ভূমি স্ট্যান্ড হিসেবে ব্যবহার করার অনুমতি দেয়া। আর মেয়রের কথা ছিল- সড়ক থেকে তাদের গাড়ি সরিয়ে ফেলা। বৈঠকে সমঝোতা না হওয়ায় গত ১৭ই ফেব্রুয়ারি চৌহাট্টা এলাকায় পরিবহন শ্রমিকদের সঙ্গে সিটি করপোরেশনের কর্মচারীদের সংঘর্ষ হয়। এতে অন্তত ২০ জন আহত হন। চৌহাট্টায় ভাঙচুর করা হয় ২০টি গাড়ি। এ ঘটনায় শ্রমিকদের বিরুদ্ধে পুলিশের দুটি ও সিটি করপোরেশনের তরফ থেকে একটি মামলা দায়ের করা হয়। শ্রমিকরা জানিয়েছেন- ওই সময় তারাও মামলা নিয়ে গেলে পুলিশ এজাহার গ্রহণ করেননি। এ কারণে ২২শে ফেব্রুয়ারি থেকে পরিবহন শ্রমিকরা সিলেট জেলায় পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিলেন। পরে ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের মধ্যস্থতায় পরিবহন শ্রমিকদের নিয়ে সিটি করপোরেশনে বৈঠক
হয়। পরিবহন শ্রমিকরা জানিয়েছেন- ওই বৈঠকে তিনটি দাবি উপস্থাপন করা হয়। দাবির মধ্যে রয়েছে- কোতোয়ালি থানায় শ্রমিক ও নেতৃবৃন্দের ওপর দায়ের করা মিথ্যা মামলাদ্বয় প্রত্যাহার, ভাঙচুরকৃত গাড়ির ক্ষতিপূরণ ও আটককৃত গাড়ি ফেরত দেয়া ও গাড়ি রাখার জন্য স্ট্যান্ডের ব্যবস্থা করা। দাবিগুলো মেনে নিয়ে মামলা প্রত্যাহার ও ক্ষতিপূরণ প্রদান ও স্ট্যান্ড ফিরিয়ে দেয়ার আশ্বাস দেয়া হলে তারা ধর্মঘট থেকে সরে আসে। কিন্তু সমঝোতা বৈঠকের ১৫ দিন পেরিয়ে গেল সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে কার্যকর কোনো
ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। এ কারণে শ্রমিকরা ফের ক্ষুব্ধ হয়েছেন। তারা ১৩ই মার্চ পর্যন্ত শ্রমিকদের আল্টিমেটাম দিয়ে বলেছে- ১৪ই মার্চ থেকে সিলেট জেলায় পরিবহন ধর্মঘটন শুরু করা হবে। এই দাবির সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে গতকাল দক্ষিণ সুরমায় শ্রমিকদের পক্ষ থেকে মানববন্ধন, বিক্ষোভ ও সমাবেশ করা হয়েছে। সমাবেশ থেকে ফের হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে পরিবহন শ্রমিকরা জানিয়েছেন- তাদের দাবি মেনে না নেয়া হলে সিলেটে শুধু ধর্মঘট নয়, আন্দোলনও শুরু করা হবে। গতকালের সমাবেশে সিলেট জেলা পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন, ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়ন, অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নসহ কয়েকটি শাখা থেকে শ্রমিকরা এসে অংশ নেয়। সিলেট জেলা পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি হাজী ময়নুল ইসলাম জানিয়েছেন- ‘সিলেটের চৌহাট্টায় ঘটনার পর শ্রমিকরা আন্দোলনে গেলেও আমরা যারা নেতা আছি সমঝোতা মেনেছিলাম। মেয়র, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দসহ সবার অংশগ্রহণে যে বৈঠক হয়েছিল সেখানে আমরা সবাই ঘটনার নিষ্পত্তি চেয়েছিলাম। এ কারণে কিছু কিছু সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে এসব সিদ্ধান্ত আর কেউ মানেননি। এ কারণে ফের আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানান তিনি।’ সিলেট জেলা ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আবু সরকার জানিয়েছেন- ‘সিটি করপোরেশনের শ্রমিকদের হাতে নির্যাতিত হলো পরিবহন শ্রমিকরা, ২০টি গাড়ি ভাঙচুর করা হলো পরিবহন শ্রমিকদের, আবার তিনটি মামলার আসামি করা হলো তাদের। এটা কেমন কথা। শ্রমিকরা তাদের আইনি অধিকারও পায়নি। মামলা গ্রহণ করা হয়নি। এ কারণে বাধ্য হয়ে শ্রমিকরা আন্দোলনে যাচ্ছে বলে জানান তিনি। সিলেট জেলা অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি জাকারিয়া আহমদ জানিয়েছেন- শ্রমিকরা সমঝোতায় নয়, আন্দোলনের মাধ্যমেই দাবি আদায় করতে হয়। প্রয়োজনে বৃহত্তর আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর