× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

মাদ্রাসা ছাত্রকে পিটিয়ে জখম, শিক্ষক গ্রেপ্তার

বাংলারজমিন

ফেনী প্রতিনিধি
৭ মার্চ ২০২১, রবিবার

ফেনীর সোনাগাজীতে মাদ্রাসার চতুর্থ জামাতের শিক্ষার্থী আসাদুল্লাহকে (১২) বেত দিয়ে পিটিয়ে জখম করার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় কুঠিরহাট দারুল উলুম মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা মো. ইসমাঈল ওরফে নোয়াখালী হুজুরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার মধ্যরাতে কুঠিরহাট থেকে মাওলানা মো. ইসমাঈলকে গ্রেপ্তার করেছে বলে জানিয়েছেন সোনাগাজী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সাজেদুল ইসলাম।

ওসি মো. সাজেদুল ইসলাম জানান, গত শুক্রবার বিকালে পড়া না পারার অজুহাতে মাদ্রাসার চতুর্থ জামাতের শিক্ষার্থী আসাদুল্লাহকে (১২) বেত দিয়ে পিটিয়ে জখম করে মাদ্রাসার অফিস কক্ষে তিন ঘন্টা আটকে রাখেন শিক্ষক মো. ইসমাঈল। ওই দিন সন্ধ্যায় মাদ্রাসার এক শিক্ষার্থীর মাধ্যমে ছাত্রের অভিভাবকরা খবর পেয়ে ছাত্রের মামা সুমন ও স্থানীয় ইউপি সদস্য ওমর ফারুক স্থানীয় এলাকাবাসীর সহযোগিতায় মাদ্রাসার অফিস কক্ষ থেকে ছাত্রটিকে উদ্ধার করে কুটিরহাট বাজারে নিয়ে যায়। পরে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। এদিকে শিক্ষক ইসমাঈল হোসেনকে এলাকাবাসী ধাওয়া দিলে তিনি তাৎক্ষণিক পালিয়ে যায়।

এ ঘটনায় মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর মা ফতেমা আক্তার শারমিন বাদী হয়ে শিশু আইনে শনিবার দুপুরে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় কুঠিরহাট দারুল উলুম মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা মো. ইসমাঈল ওরফে নোয়াখালী হুজুরকে রাতে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

এদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক অভিভাবক জানান, এর আগেও ইসমাঈল হুজুরের আঘাত সহ্য করতে না পেরে অনেক ছাত্র মাদ্রাসা ছেড়ে পালিয়ে যায়। শ্রেণিপাঠে ভীতি তৈরী হওয়ায় অনেক শিক্ষার্থীকে পরে আর পড়ালেখায় মনোযোগী করা যায় নি। স্থানীয় মজলিশপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ হোসেন জানান, এর আগেও শিক্ষক ইসমাঈলের বেত্রাঘাতের বিষয়ে কয়েকবার সালিশ হয়েছে।
এ বিষয়ে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সাথে কথা বলে প্রয়োনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা জুবায়ের হোসেন বলেন, মাদরাসা শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনাটি দুঃখজনক। শিক্ষকের অপরাধ প্রতিষ্ঠান বহন করবে না। যে অপরাধ করবে তাকে অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। রোববার মাদ্রাসার জরুরী সভা (মিটিং) ডাকা হয়েছে। সভা থেকে শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর