× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

রাজারহাটে শিক্ষার্থীদের ১০ হাজার টাকা অনুদান দেয়ার গুজবে হুলুস্থুল

বাংলারজমিন

রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
৭ মার্চ ২০২১, রবিবার

করোনাকালীন শিক্ষার্থীদের ১০ হাজার টাকা সরকারি অনুদান দেয়ার গুজবে ৬ ও ৭ই মার্চ শনিবার শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ঢল নেমেছিলো রাজারহাট উপজেলা সদরে। ফটোকপি ও অনলাইন সার্ভিসের দোকানগুলোতে ছিলো উপচেপড়া ভিড়। প্রতিষ্ঠান প্রধানদের প্রত্যয়ন নিতে স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। অতিরিক্ত মানুষের চাপে লেগে যায় যানজট। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানদের সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ন্যায় এ বছর শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বিশেষ অনুদানের জন্য আবেদন চাওয়া হয়েছে। এতে দুরারোগ্য ব্যাধি ও দৈব দুর্ঘটনার শিকার শিক্ষক-কর্মচারি ও আর্থিক অসচ্ছল, প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা এ অনুদানের জন্য আবেদন করতে পারবেন। সংস্কার, আসবাবপত্র, খেলার সামগ্রী এবং পাঠাগার উন্নয়নের জন্য বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো আবেদন করতে পারবে। আবেদনের সময়সীমা  ৭ই মার্চ  পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছিল।

শিক্ষার্থীরা জানান, করোনাকালীন স্টুডেন্ট ভাতা হিসেবে ১০ হাজার টাকা প্রদান করার কথা শুনে তাদের স¦-স্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানের কাছ থেকে প্রত্যয়ন নিয়ে অনলাইনে আবেদনের জন্য ভিড় করছেন। কিন্তু নির্ধারিত ওয়েব সাইটে প্রবেশ করা যাচ্ছে না। এছাড়া কোন কোন প্রতিষ্ঠান বিনামূল্যে প্রত্যয়ন দিলেও কিছু প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্টরা ২০ টাকা পর্যন্ত নিয়েছেন বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। রাজারহাট আদর্শ মহিলা কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী মিনারা আক্তার, সরকারি মীর ইসমাইল হোসেন কলেজের এইচএসসি পাস ছাত্রী রুবাইয়া আক্তার, বৈদ্যের বাজার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী নাঈমা খাতুন, হরিশ্বর তালুক উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র মো. শাহ আলম বাদশা, ফুঁলখার চাকলা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র স্বপন কুমার ও সুখদেব দাখিল মাদরাসার ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী মোছা. আয়শা সিদ্দিকা জানান, ১০ হাজার টাকা অনুদান দেয়ার কথা শুনে অনলাইনে আবেদন করতে এসেছি। প্রতিটি আবেদন ফরম অনলাইনে পূরণ করার জন্য ১০০ টাকা ও অন্যান্য কাগজপত্র ফটোকপি করার জন্য ৫০ টাকা পর্যন্ত খরচ দিতে হচ্ছে। কিন্তু ইন্টারনেটের ধীর গতির কারণে সার্ভারে ঢোকা যাচ্ছে না।  
এ বিষয়ে রাজারহাট উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আশরাফ-উজ-জামান বলেন, শিক্ষার্থীরা ১০ হাজার করে টাকা পাবেন, এটা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে প্রেরিত পত্র আমরা সকল প্রতিষ্ঠানে পাঠিয়ে দিয়েছি। পত্রে নির্দিষ্ট করে ক্যাটাগরি উল্লেখ করা আছে, এর বাইরে কিছু নয়।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর