ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হকের সামনে দলের বিবাদমান দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় অবশেষে মামলা হয়েছে। ঘটনার পরদিন শনিবার রাতে থানার এসআই মোঃ আনোয়ার হোসাইন বাদী হয়ে দ্রুত বিচার আইনে এ মামলা দায়ের করেন। মামলায় ২৮ জনকে এজাহারনামীয় এবং দু’-আড়াইশ’ লোককে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। এরপরই পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে রবিবার ভোররাতে ঘটনায় জড়িত ৬ জনকে গ্রেপ্তার করে। এরা হচ্ছেÑ কসবার নোয়াপাড়া গ্রামের হৃদয় খাঁন (২২), মোঃ রাসেল (৩০), মোঃ কাইয়ুম (২২),মোঃ রবিন (২৫), সালাউদ্দিন (২৭) ও রবিউল্লাহ (৩২)। শুক্রবার মন্ত্রী আনিসুল হক নিজ এলাকায় সফরে এলে তার দলের ২ মেয়র প্রার্থীর সমর্থকদের তুমুল সংঘর্ষে কসবা রণক্ষেত্র হয়ে উঠে। স্মার্ট আইডি কার্ড বিতরণ ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর মুর্যাল উদ্বোধন করতে মন্ত্রী ওইদিন কসবায় যান। পুলিশ জানায়, মন্ত্রী এলাকায় আসার আগেই আড়াই-তিনশো লোক আধিপত্য বিস্তার করাকে কেন্দ্র করে মিছিল শুরু করে এবং পরে লাঠি, হাসুয়া, ছোরা, রাম দা, লোহার রড, কাঠের টুকরা হাতে নিয়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় লিপ্ত হয়। এরমধ্যে মন্ত্রী কসবা উপজেলা অডিটরিয়ামে পূর্ব নির্ধারিত স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে এলেও ঘটনায় বিব্রত হয়ে মঞ্চ থেকে নেমে পানিয়ারূপ গ্রামে নিজ বাস ভবনে চলে যান। পরবর্তীতে দু’পক্ষের মধ্যে ব্যাপক ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এসময় কসবা স্বাধীনতা চত্তরে রাখা ৪টি মোটরসাইকেল ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।
পুরাতন বাজারে অবস্থিত ব্যাংক এশিয়াসহ সীমান্ত কমপ্লেক্স এর বিভিন্ন দোকানে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে ভাঙচুর করা হয়। এর জের ধরে সন্ধ্যার পর শাহপুর গ্রামেও সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে।