পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া উপজেলার পূর্ব পশারীবুনিয়া গ্রামে বৃহস্পতিবার রাতে এক গৃহবধূ (৩৭) ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় ওই নারী শনিবার রাতে ভাণ্ডারিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ওই গৃহবধূ তার দুই মেয়েকে নিয়ে তার স্বামীর বাড়ীতে বসবাস করত। তার স্বামী ৬ বছর পূর্বে তাদেরকে বাড়ীতে রেখে অভিমান করে অন্যত্র চলে যায়। এ সুযোগে প্রতিবেশী মোয়াজ্জেল সিকদারের ছেলে তার চাচাতো দেবর সবুর সিকদার প্রায়শই তাকে উত্ত্যক্ত করত এবং অনৈতিক প্রস্তাব দিতো। এতে সে রাজি না হওয়ায় বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) রাতে তার মেয়েরা ঘুমিয়ে পড়লে লম্পট সবুর সিকদার কৌশলে তার ঘরে ঢুকে জোরপূর্বক গৃহবধূকে ধর্ষণ করে। এ সময় গৃহবধূর ডাকচিৎকারে মেয়েরা ঘুম থেকে জেগে গেলে লম্পট সবুর পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ওই নারী শনিবার রাতে সবুর সিকদারকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ভাণ্ডারিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
ভাণ্ডারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মাসুমুর রহমান বিশ্বাস জানান, এ ঘটনায় ভাণ্ডারিয়া থানায় একটি মামলা হয়েছে। আসামি গ্রেপ্তারের জন্য চেষ্টা চালছে।
নির্মাণ শ্রমিকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধারভাণ্ডারিয়া উপজেলার রাজপাশা গ্রাম থেকে রোববার সকালে সাব্বির হাওলাদার (২৫) নামের এক নির্মান শ্রমিকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সে রাজপাশা গ্রামের সৌদি প্রবাসী আব্দুস সালাম হাওলাদারের ছেলে এবং এক সন্তানের জনক।
থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সাব্বির হাওলাদার রাজধানীর একটি গার্মেসে চাকুরী করতেন। করোনাকালীন সময় বাড়িতে এসে নির্মাণ শ্রমিকের কাজ শুরু করে। এ নিয়ে তার স্ত্রী আমিনা বেগমের সঙ্গে বাকবিতন্ডা লেগেই থাকত। শনিবার রাত আনুমানিক ১২টার দিকে সাব্বির ঘর থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি। সকালে তার মা ওজু করতে গিয়ে একটি মেহগনি গাছের সঙ্গে ছেলের লাশ দেখতে পান। সংবাদ পেয়ে থানা পুলিশ রোববার সকালে ঘটনাস্থল থেকে সাব্বিরের মরদেহ উদ্ধার করে।