× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার , ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ভারতের বাণিজ্যসচিবের বৈঠক /স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি স্মরণীয় করে রাখতে চাই

অনলাইন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার
(৩ বছর আগে) মার্চ ৭, ২০২১, রবিবার, ৬:৪৪ অপরাহ্ন

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, স্বাধীনতার সময় ভারত বন্ধুর মতো পাশে ছিল, তাই স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে আমরা একটা উদাহরণ রাখতে চাই। বছরটা আমরা স্মরণীয় করে রাখতে চাই।

রোববার সচিবালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রীর অফিস কক্ষে বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের বাণিজ্য বিভাগের সচিব অনুপ ধাওয়ানের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আজকে ভারতের বাণিজ্য সচিবের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদল এসেছিলেন সৌজন্য সাক্ষাতের জন্য। মূল আলোচনাটি হবে আগামীকাল আমাদের মন্ত্রণালয়ের সচিব ও ভারতের বাণিজ্য সচিবের মধ্যে। কাল তারা বিস্তারিত আলোচনা করবেন। আজকের সৌজন্য সাক্ষাতের মাঝেও কিছু বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আমাদেরকে দুই পক্ষেরই কিছু সমস্যা রয়েছে, সেগুলো নিয়ে কথা বলেছি।

ভারতের সচিব বলেছেন- তিনি অত্যন্ত পজিটিভ মুড নিয়েই বাংলাদেশে এসেছেন।
আমরা স্বাধীনতার ৫০ বছর পালন করছি, সেটাকে মাথায় রেখে আমরা চাই আমাদের পুরোনো সমস্যাগুলো যেন সমাধান হয়। আমরা যেন সেই সমস্যাগুলো সমাধানে কাজ করতে পারি এবং নতুন চিন্তা-ভাবনাগুলো নিয়ে যেন কাজ করতে পারি।

তিনি বলেন, কাস্টমসের যে সমস্যা রয়েছে সেদিকে দৃষ্টি দেয়া দরকার সেটা তারা বলেছে। বেনাপোল সীমান্তে কিছু সমস্যা রয়েছে, সেটাও তারা লিখেছে। আখাউড়া ও আগরতলায় যে বর্ডার রয়েছে সেগুলো যাতে আরো কার্যকর করা যায়, সেগুলো ঢাকা থেকে মাত্র দুই ঘণ্টার পথ। এর কমিউনিকেশন আরো সুবিধাজনক হলে আরো ভালো হবে, সেটার দিকে দৃষ্টি দেয়ার জন্য তারা বলেছে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগের বিষয়ে তারা কথা বলেছেন। কয়েকটি সেক্টরের বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। ফুড প্রসেসিং, মোটরযানসহ আরো দু’একটি সেক্টর যেগুলো তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সেখানে তারা ইনভেস্ট করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। ভারতের সঙ্গে এখন আমাদের অনেকগুলো ট্রেড-ম্যাটেরিয়ালের সুবিধা রয়েছে। আজকে আমাদের সেসব বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়েছে।

তিনি আরে বলেন, হয়তো ২০২৬ সালে আমাদের গ্রাজুয়েশন হয়ে যাবে, তারপরে হয়তো আরো তিন বছর আমরা জিএসপি প্লাস পেতে পারি। কিন্তু আমরা আরো চিন্তা করলে লম্বা সময়ের জন্য আমাদের প্ল্যান করা জরুরি। ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রচারের জন্য সেসব পরিকল্পনা নিয়ে আগালে পরবর্তীতে আমাদের সুবিধা হবে। প্রধানমন্ত্রীও চান পিটিএ, এফটিএগুলো আমরা যেন করি, ২০৩০ সাল নাগাদ আমরা যেন বেনিফিটটা পাই।

হঠাৎ করে ভারতের বাংলাদেশের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত হওয়ার আগ্রহ কেন বাড়ল এমন প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, হঠাৎ করে স্বাধীনতার ৫০ বছর হয়নি, আমাদের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী চলছে। তাছাড়া ভারতের দিক থেকে ওরা এবং আমরা ব্যাপারটা বিশেষ করে আমি নিজে উৎসাহী এ ব্যাপারে। যাতে করে ব্যবসা-বাণিজ্য ডেভেলপ করা যায়।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এই সুবর্ণজয়ন্তীর সময়টিতে তারাও চায় আমরাও চাই ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ভারত আমাদের স্বাধীনতার সময় বন্ধুর মতো পাশে ছিল এই সময়টা আমরা একটা রেফারেন্স রাখতে চাই। যে আমরা এই বছরটিতে অনেক কিছু করতে পেরেছি। আজকেও আমি ইন্ডিয়ান হাইকমিশনারকে বলেছি- আপনি এমন একটি সময়ে আমাদের দেশে আছেন যে সময় আমরা স্বাধীনতার ৫০ বছর উদযাপন করছি। এখন আমরা বাণিজ্য চাই। আমাদের বিশেষ করে অর্থনৈতিক অঞ্চল সেখানেও আমরা তাদেরকে ডাকছি। বছরটা আমরা স্মরণীয় করে রাখতে চাই।

তিনি আরো বলেন, আমাদের কিছু সমস্যা কিছু রয়েছে সেটি নিয়ে আলোচনা করবো। এক সঙ্গে পথ চলতে গেলে সমস্যা হতে পারে। আমরা সেগুলোই বলেছি, যে সমস্যাগুলো রয়েছে, আলোচনা করে তা সমাধান করা দরকার।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর