শেষ ওভারে ৯ রান প্রয়োজন ছিল বাংলাদেশ ইমার্জিং দলের। প্রথম বলেই মিড উইকেট দিয়ে চার হাঁকান সুমন খান। বাকি কাজটা সারেন শামীম হোসেন। দুই বল হাতে রেখে জয় পায় দল। গতকাল আয়ারল্যান্ডস উলভসের (‘এ’ দল) বিপক্ষে ৪ উইকেটের দারুণ জয় পায় বাংলাদেশ ইমার্জিং দল।
আইরিশদের করা ২৬৩ রানের জবাবে খেলতে নেমে শুরুটা দারুণ করেন সাইফ হাসান এবং তানজিদ হাসান তামিম। দলীয় ৪৪ রানে স্বাগতিকদের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন রুহান প্রিটোরিয়াস। এসময় তানজিদকে ১৭ রানে সাজঘরে ফেরান তিনি। ব্যাট হাতে ৯০ রান করার পর বল হাতেও সাফল্যের দেখা পান প্রথম ম্যাচে করোনা পজিটিভ হওয়া এই আইরিশ অলরাউন্ডার।
তার করোনা আক্রান্তের খবরে সিরিজের প্রথম ম্যাচ বাতিল হয়। শনিবার রাতে দু’দলের সবাই করোনা নেগেটিভ হন।
এরপর ব্যক্তিগত ৩৬ রানে সাজঘরে ফেরেন সাইফ হাসান। দলীয় ৭৯ রানে সাইফ ফিরলে দলের হাল ধরেন জয় এবং ইয়াসির আলী। এই দুই ব্যাটসম্যানের ৭৭ রানের জুটি ভাঙেন বেন হোয়াইট। ৩১তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ইয়াসির আলীকে ৩১ রানে ফেরান তিনি। ইয়াসিরের বিদায়ের পর জয়কেও ফেরান হোয়াইট। ৯৫ বলে ৬৬ রানের ইনিংসে চারটি ৪ হাঁকান এই ব্যাটসম্যান।
১৭২ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে অস্বস্তিতে থাকা দলের হাল ধরেন তৌহিদ হৃদয় ও শামীম হোসেন। পঞ্চম উইকেট জুটিতে ৪২ রান যোগ করে ৪৪তম ওভারে জশ লিটলের উইকেটে পরিণত হন হৃদয়। পরের ওভারে আকবর আলী রান আউট হলে দল বিপদে পড়ে যায়।
শেষ দিকে একাই ব্যাট হাতে ঝড় তোলে শামীম। শেষ ওভারে বাংলাদেশের প্রয়োজন ৯ রান। শামীমের ব্যাটে দুই বল হাতে রেখেই জয় পায় স্বাগতিকরা। ব্যাট হাতে ৩৯ বলে ৫৩ রানের ম্যাচজয়ী ইনিংস খেলেন ম্যাচসেরা তারকা শামীম হোসেন। আয়ারল্যান্ডের হয়ে জোড়া উইকেট পান বেন হোয়াইট। একটি করে উইকেট নেন লিটল, প্রিটোরিয়াস, গেটাকে।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে প্রিটোরিয়াসের ৯০ রানের অনবদ্য ইনিংসে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৬৩ রানের পুঁজি পায় আয়ারল্যান্ড। বাংলাদেশের হয়ে জোড়া উইকেট পান রাকিবুল হাসান এবং সুমন খান। একটি করে উইকেট নেন মুকিদুল ইসলাম ও শফিকুল ইসলাম।