১২ই এপ্রিল শ্রীলঙ্কায় টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ খেলতে যাবে বাংলাদেশ দল। একই ভেন্যুতে সিরিজে দুটি টেস্ট খেলে টাইগাররা দেশে ফিরবে মে মাসের প্রথম সপ্তাহে। সেই মাসেই ২০ থেকে ২৫ তারিখের মধ্যে লঙ্কানরা বাংলাদেশ সফরে আসবে। খেলবে ওয়ানডে সুপার লীগের তিন ম্যাচ। এক কথায় এপ্রিল ও মে এই ২ মাসে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি) আতিথেয়তা দেবে আবার নেবে শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট বোর্ড (এসএলসি)। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজামুদ্দিন চৌধুরী সুজন। গতকাল বিসিবির সিইও বলেন, ‘আমরা আশা করছি এপ্রিলে আমাদের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের খেলা শেষ করে আসার পরে। আবারো শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আমাদের এখানে হোম সিরিজ হবার কথা।
সূচি অনুসারে ওডিআই সিরিজ এই তিনটা ম্যাচ খেলার জন্য শ্রীলঙ্কা ‘মে’ মাসের ২০ তারিখের দিকে বাংলাদেশে আসবে। সেটি রোজার ঈদের পরে যতদ্রুত সম্ভব।’ করোনা ভাইরাসের কারণে বাংলাদেশ ক্রিকেট সুচি লণ্ডভণ্ড হয়ে গিয়েছিল। গেল বছর ফেব্রুয়ারির পর থেকে ১১ মাস কোনো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা হয়নি টাইগারদের। তবে ২০২১ এ স্থগিত হওয়া আসর ছাড়াও রয়েছে নতুন করে এফটিপিতে সংযুক্ত হওয়া অনেক ক্রিকেট সিরিজ। এপ্রিলে যখন বাংলাদেশ দল শ্রীলঙ্কায় যাবে তখন শুরু হবে রমজান। সেখান থেকে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ খেলে ফিরে আসবে ঈদের আগেই মে মাসের ৭ তারিখের মধ্যে। এরপরই ১৩ বা ১৪ দিন বিরতি। বিশ্রামে থাকবে বাংলাদেশ দল। এরপরই মে মাসের শেষ সপ্তাহে লঙ্কানরা আসবে বাংলাদেশ সফরে। অন্যদিকে এপ্রিলে শ্রীলঙ্কায় যে টেস্ট সিরিজ খেলবে তা এখন নিশ্চিত। কিন্তু সূচি প্রকাশ করবে এসএলসি। বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামুদ্দিন সুজন জানিয়েছেন ১২ই এপ্রিল শ্রীলঙ্কা যাবে টাইগাররা। তিনি বলেন, ‘দুইটা টেস্ট এক জায়গায় হবে। বাংলাদেশ দল কলম্বোতে থাকবে। সবকিছু ঠিক থাকলে বাংলাদেশ দল আগামী ১২ই এপ্রিল শ্রীলঙ্কার উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করবে। প্রাথমিকভাবে ৬-৭ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে, অন্যান্য প্রটোকল যে সব আছে এসবরে মধ্যেই বাংলাদেশ দল থাকবে।’
এশিয়া কাপ না হলে বিকল্প ভাবনা
টেস্ট চ্যাম্পিয়ানশিপের ফাইনালে খেলা আগেই নিশ্চিত করেছিল নিউজিল্যান্ড। এবার তাদের প্রতিপক্ষ হিসেবে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে ভারত। জুনেই দুই দল মুখোমুখি হবে শিপোর লড়াইয়ে। আর সেই সময় হওয়ার কথা ছিল এশিয়া কাপের। কিন্তু ভারত ফাইনালে যাওয়ায় এখন তা হচ্ছে না নিশ্চিত। আর তা নাহলে সেই সময় বাংলাদেশ দলকে নিয়ে বিসিবির পরিকল্পনা কী থাকবে! এ বিষয়ে নিজামুদ্দিন চৌধুরী সুজন বলেন, ‘ যদি এশিয়া কাপ না হয়, আমরা একটা স্লট এভেইলেভল পাই চেষ্টা করবো কিছু একটা আয়োজনের। এই অল্প সময়ের মধ্যে আন্তর্জাতিক কোনো টুর্নামেন্ট আয়োজন সম্ভব হবে না। আর জাতীয় দলের খেলোয়াড়রা তো অবশ্যই ফ্রি থাকবে। সেই সময় চেষ্টা করবো কোনো ডমেস্টিক (ঘরোয়া) টুর্নামেন্টের কোনো স্লট ফিক্সড করা যায় কিনা। আমরা এখনও কাজ করছি বিষয়টা নিয়ে, আমাদের ক্রিকেট ক্যালেন্ডার নিয়ে এবং আমরা চেষ্টা করছি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এটাকে প্যানেল করে একটা পূর্ণাঙ্গ ক্রিকেট ক্যালেন্ডার বোর্ডকে উপস্থাপন করা।’
এশিয়া কাপ হওয়া না হওয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি)। যে কারণে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি বিসিবির সিইও। তিনি বলেন, ‘দেখুন এশিয়া কাপ কিন্তু এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের একটি বিষয়। যদিও আমরা ফুল মেম্বার হিসেবে এটার সঙ্গে সম্পৃক্ত তবে এ বিষয়ে কিছু বলা ঠিক হবে না। আমি মনে করি এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের সঙ্গে যোগাযোগ করা ভালো হবে।’