দুজনেই ভারতীয় ক্রিকেট দলের হয়ে খেলেছেন। বাংলা ক্রিকেট দলের হয়ে একসঙ্গে ঘাম রক্ত ঝরিয়েছেন। ঘটনাচক্রে আজ মনোজ তিওয়ারি শিবপুরে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী। অশোক দিন্দা মেদিনীপুরের ময়নায় বিজেপি প্রার্থী। দুই ভিন্নধর্মী রাজনীতির খাতায় নাম লিখিয়েছেন দুজন। কিন্তু তাতে দুই বন্ধুর সম্পর্ক অটুট। মনোজ তিওয়ারি বললেন, রাজনীতি আমাদের ভিন্ন হতে পারে তাতে দশকের বেশি বন্ধুত্বের সম্পর্ক ম্লান হবে কিভাবে? অশোক দিন্দা বলছেন, আইপিএল আর ক্লাব ক্রিকেটের বাইরে আমরা কবে ভিন্ন দলে খেলেছি মনেই করতে পারছি না। রাজনীতি ভিন্ন গোত্রের হতে পারে, কিন্তু বন্ধুত্ব তো আলাদা মাত্রায়। রাজনীতি সেখানে বিভেদের প্রাচীর তুলতে পারবে না।
তিওয়ারি ও দিন্দা পরিবারের সখ্যতা ক্রিকেট মহলেও চর্চার বিষয়। দুই পরিবার একসঙ্গে বেড়াতেও যায়। মনোজ বলছেন, এর কোনও পরিবর্তন হবে না। খেলার মাঠই প্রমাণ করে দেবে, ভিন্ন রাজনীতি করেও সম্পর্ক বজায় রাখা যায়। দিন্দাও একই সুরে কথা বলছেন। মনোজ তিওয়ারির কাছে দিদি মানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লড়াকু মানসিকতা অনুপ্রেরণা। মনোজ নিজে একজন ফাইটার। তাই, দিদির লড়াই তাঁকে উদীপ্ত করে। অশোক দিন্দা আবার নরেন্দ্র মোদির যুদ্ধের ভক্ত। তবে, দুজনেই কৃতজ্ঞ দল তাদের হোমগ্রাউন্ডে লড়াই করার সুযোগ দেয়ার জন্যে। শিবপুরের ছেলে মনোজ তিওয়ারি শিবপুর বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী। অশোক দিন্দা পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নায় যা তাঁর গ্রাম থেকে খুব কাছে। দুজনেই জেতার স্বপ্ন দেখছেন। দুজনেই চান ক্রিকেট মাঠের মতো রাজনীতিতেও সফল হতে।