× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ইকোনমিক টাইমসের খবর /চীনের অর্থনীতি বিপরীতমুখী, বাংলাদেশ বাতিল করেছে ৫ প্রকল্প

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(৩ বছর আগে) মার্চ ৮, ২০২১, সোমবার, ৪:০৬ অপরাহ্ন

করোনা সংক্রমণ সত্ত্বেও গত বছরে চীনের অর্থনীতিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে বলে রিপোর্টে বলা হয়েছে। কিন্তু সেই অর্থনীতি এখন বিপরীতমুখী। তারা ব্রিকস (বিআরআইসিএস) ব্যাংকের কাছ থেকে ঋণ নিয়েছে। এর আগে বাংলাদেশে ঋণ হিসেবে সহায়তা দিতে চেয়েছিল চীন, এমন ৫টি প্রকল্প বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ। ব্রিকসের নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এনডিবি) ঘোষণা দিয়েছে, করোনা মহামারির কারণে চীনের অর্থনীতির যে ক্ষতি হয়েছে তা কাটিয়ে উঠার জন্য জরুরি সহায়তা কর্মসূচির আওতায় চীনকে ৭০০ কোটি ইউয়েন বা প্রায় ১০৮ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন করেছে তারা। ভারতের অনলাইন ইকোনমিক টাইমসে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে। বার্তা সংস্থা সিনহুয়ার মতে, করোনা মহামরির বিরুদ্ধে লড়াই করতে চীনকে সহায়তা করতে এটা এনডিবির দ্বিতীয় জরুরি ঋণ। এই ঋণ দিয়ে উৎপাদন কর্মকা- আগের অবস্থায় নিয়ে যেতে সহায়ক হবে।
একই সঙ্গে দেশে কর্মসংস্থান স্থিতিশীল একটি অবস্থায় আসবে। ফলে দেশে অর্থনৈতিক উন্নয়ন টেকসই হিসেবে গড়ে তোলা যাবে।
রিপোর্টে আরো বলা হয়েছে ২০২০ সালে ওই ব্যাংক একটি মেকানিজম প্রতিষ্ঠা করে। এর অধীনে সদস্য দেশগুলোকে জরুরি সহায়তা কর্মসূচির আওতায় ঋণ প্রস্তাব করা হয়। এর মাধ্যমে তাদেরকে করোনা মহামারির বিরুদ্ধে সহায়তা করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ব্যাংকটি এন্টিভাইরাস সম্পর্কিত জরুরি ঋণ হিসেবে মোট ৭০০ কোটি ডলার ঋণ দিয়েছে। বাংলাদেশের ৫টি প্রকল্পে অর্থায়নের কথা ছিল চীনের। কিন্তু ওই ৫ প্রকল্প থেকে চীনকে বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ। ২০১৬ সালের অক্টোবরে ঢাকা সফরে আসেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। তখনই ওই প্রকল্পগুলোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। এর মধ্যে রয়েছে ঢাকা-সিলেট চার লেনের হাইওয়ে প্রকল্প। এর জন্য ২১১ কোটি ডলার খরচ ধরা হয়েছিল। আরেকটি প্রকল্প হলো বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে মাটির নিচে সম্প্রসারণ কাজ। এতে খরচ করার কথা বলা হয় ২৫ কোটি ৬৪ লাখ ১০ হাজার ডলার। অন্য প্রকল্পটি হলো বাংলাদেশ বিদ্যুত উন্নয়ন বোর্ডের বিতরণ জোন। এক্ষেত্রে খরচ ধরা হয় ৫২ কোটি ১৫ লাখ ৬০ হাজার ডলার। অন্য প্রকল্পটি হলো গজারিয়ায় ৩৫০ মোগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন কয়লাচালিত তাপবিদ্যুত কেন্দ্র। এর জন্য খরচ ধরা হয় ৪৩ কোটি ৩০ লাখ ডলার। আর পঞ্চম প্রকল্পটি হলো বাংলাদেশ জুট মিলস করপোরেশনে সমতা আনা, আধুনিকায়, পুনর্বাসন ও সম্প্রসারণ। এতে খরচ ধরা হয় ২৮ কোটি ডলার। তবে দুর্নীতির ইস্যুতে ঢাকা-সিলেট চার লেনের প্রকল্প বাতিল করা হয় তালিকা থেকে। এক্ষেত্রে অর্থায়নে রাজি হয়েছে বহু পর্যায়ের ঋণদাতারা। বাকি তিনটি প্রকল্প সরকারের অগ্রাধিকারের তালিকায় নেই। ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসে চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াং এ বছর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির টার্গেট ঘোষণা করেছেন শতকরা ৬ ভাগের ওপরে। এটা এ বছরও সেখানে নিয়ন্ত্রিত অর্থনীতি এবং আর্থিক নীতির ইঙ্গিত দেয়। কিন্তু চীনের নতুন পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা, যা ২০২৫ সাল পর্যন্ত অগ্রসর হচ্ছে, সেখানে কোনা গড় প্রবৃদ্ধি বেধে দেয়া হয়নি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর