× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

খুমেক ছানি অপারেশনের মেশিন বন্ধ, ভোগান্তিতে রোগীরা

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা থেকে
৯ মার্চ ২০২১, মঙ্গলবার

যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে প্রায় দেড় বছর ধরে বন্ধ রয়েছে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কোটি টাকা মূল্যের ফ্যাকো মেশিন। এ ছাড়াও হাসপাতালটির চক্ষু বিভাগে পেরিমেট্রো ও একটি বায়োমাইক্রোস্কোপ মেশিনও বন্ধ রয়েছে। এসব মেশিন বন্ধ থাকায় অনেকে বেসরকারি হাসপাতাল থেকে বেশি টাকা খরচে চিকিৎসা নিতে বাধ্য হচ্ছেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, অনলাইন ইউপিএস সংযোগ না থাকার কারণে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে হাসপাতালে পড়ে আছে ফ্যাকো মেশিনটি। যার মাধ্যমে রোগীদের চোখের ছানি অপারেশন করা হয়। তবে এ হাসপাতালে এখনো হাতে কেটে এ অপারেশন করা হচ্ছে। কিন্তু আধুনিক এই মেশিনটি পড়ে থাকার কারণে অনেককে ছুটতে হচ্ছে বেসরকারি হাসপাতালের দিকে। হাসপাতালে চোখের ছানি অপারেশন করাতে লেন্স ক্রয় ছাড়া কোন খরচ না থাকলেও বেসরকারিতে খরচ হয় প্রায় ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা।

এদিকে, চোখের গ্লুকোমা রোগ পরীক্ষার জন্য ব্যবহার করা হয় পেরিমেট্রি মেশিন। কিন্তু প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত টেকনিশিয়ানের অভাবে খুমেক হাসপাতালের চক্ষু বহির্বিভাগে এ মেশিনটি বন্ধ রয়েছে প্রায় দু’বছর ধরে। একই কারণে এ বিভাগে বন্ধ রয়েছে চোখের লেজার মেশিন। এ ছাড়াও চোখের স্বাভাবিক নানা রোগ পরীক্ষার জন্য ব্যবহার করা দু’টি বায়োমাইক্রোস্কোপ মেশিনের মধ্যে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে একটি বন্ধ রয়েছে বলে জানা গেছে।
খুমেক হাসপাতালের চক্ষু বিভাগের প্রধান ডা. সৈয়দ আলী বলেন, করোনার সূচনা থেকেই কোটি টাকা মূল্যের ফ্যাকো মেশিনটি বন্ধ রয়েছে। এ মেশিনের দ্বারা চোখের ছানি অপারেশন করা হয়। তবে ফ্যাকো মেশিন বন্ধ থাকলেও হাসপাতালে থেমে নেই ছানি অপারেশন। ফ্যাকো মেশিনটি বন্ধ থাকায় রোগীদের তেমন দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে না। কিন্তু অত্যাধুনিক মেশিনের মাধ্যমে অপারেশন করলে অনেক সুবিধা রয়েছে। এ মেশিনের অনলাইন ইউপিএস সংযোগ স্থাপনের জন্য চক্ষু বিভাগের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. এটিএম মঞ্জুর মোর্শেদ বলেন, অনেকদিন ধরে অনলাইন ইউপিএস সংযোগ না থাকার কারণে চক্ষু বিভাগের এই ফ্যাকো মেশিনটি বন্ধ রয়েছে। তবে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করা হয়েছে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যেই এ সমস্যার সমাধান হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। এ ছাড়াও পেরিমেট্রি ও লেজার মেশিন পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান হাসপাতালটির শীর্ষ এ কর্মকর্তা।

 
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর