× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

এসপিএসি বিনিয়োগকারীদের সম্ভাবনাময় বাজার হয়ে উঠছে ভারত

দেশ বিদেশ

অনলাইন ডেস্ক
৯ মার্চ ২০২১, মঙ্গলবার

‘ব্ল্যাঙ্ক চেক’ নামে পরিচিত স্পেশাল পারপাজ অ্যাকুইজিশন কোম্পানিগুলো (এসপিএসি) তাদের অধিগ্রহন লক্ষ্য পূরণে ক্রমে ভারতের দিকে ঝুঁকছে। যার সুবাদে ভারতে সম্প্রতি বিভিন্ন কোম্পানির মধ্যে চুক্তির যে ধারা সৃষ্টি হয়েছে তা অব্যাহত থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। জাপানের আর্থিক সেবাদাতা কোম্পানি নমুরা হোল্ডিংস ইনকরপোরেশনের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, এসপিএসি মূলত অধিগ্রহন কার্যক্রম সম্পন্ন করার জন্য বিশেষ এক ধরনের কোম্পানি। এ ধরনের কোম্পানির কোন ব্যবসায়িক উদ্দেশ্য থাকে না। কোন একটি কোম্পানি অধিগ্রহনের উদ্দেশ্যে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে মূলধন সংগ্রহ করতে ব্যবহৃত হয়। কয়েক দশক ধরেই এসপিএসি কোম্পানিগুলোর অস্তিত্ব থাকলেও বিগত কয়েক বছর ধরে তা তুমুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।
গত সপ্তাহে ভারতের কোম্পানি রিনিউ পাওয়ার যুক্তরাষ্ট্রে নিবন্ধিত এসপিএসি কোম্পানির সঙ্গে একীভূত হওয়ার বিষয়ে সম্মতি দেয়।
আর এ চুক্তির বিনিময়ে দেশের বৃহত্তম নবায়নযোগ্য জ্বালানী কোম্পানিটি ৮০০ কোটি ডলার পাবে। ভারতীয় অনলাইন গ্রোসারি কোম্পানি গ্রোফারও একটি ব্ল্যাঙ্ক চেক কোম্পানির সঙ্গে একীভূত হওয়ার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ারবাজারে পা রাখাতে চাইছে।

নমুরার ভারতীয় বিনিয়োগ ব্যাংকিং বিভাগের প্রধান উৎপল উযা বলেন, ‘আসছে বছরগুলোয় ভারতে এসপিএসির সুবাদে লেনদেন আরো বাড়বে।’ তিনি আরো বলেন,‘ নবায়নযোগ্য জ্বালানী, প্রযুক্তি অথবা ই-কমার্স কোম্পানিগুলো আন্তর্জাতিক কোম্পানিগুলোকে বেশি আকৃষ্ট করবে কারণ করপোরেট কাঠামো অনুযায়ী এ ধরনের কোম্পানি সহজে একীভূত হতে পারে না।’

মূলত এসপিএসি কোম্পানিগুলো দুই বছরের মধ্যে কোন একটি ব্যবসা অধিগ্রহণের জন্য আইপিওর মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করে দেয়। এসমস্ত চুক্তির অনেকগুলোই হংকংয়ের বিলিয়নিয়ার রিচার্ড লি এবং সাবেক ক্রেডিট সুইস প্রধান তিদজানে থিয়ামের মতো বিত্তশালী ও জনপ্রিয় ব্যাক্তিরা স্পন্সর করে থাকে। শুধুমাত্র চলতি বছরই যুক্তরাষ্ট্রে এ ধরনের চুক্তির মাধ্যমে ছয় হাজার ৬০০ কোটি ডলার সংগ্রহ করা হয়েছে বলে ব্লুমবার্গের দেয়া তথ্যে জানা গিয়েছে।
সিঙ্গাপুরও খুব শিগগিরই এ দলে যোগ দিতে যাচ্ছে। এসপিএসিকে শেয়ারবাজারে প্রবেশের সুযোগ করে দিতে দেশটির এক্সচেঞ্জ বিভাগ সংশ্লিষ্টজনদের সঙ্গে পরামর্শ করছে। প্রয়োজনীয় সহযোগিতা পেলে চলতি বছরই কার্যক্রম শুরু হতে পারে।
চলতি বছরের মধ্যে ভারতের কমপক্ষে ১০টি কোম্পানি এসপিএসির মাধ্যমে শেয়ারবাজারে কার্যক্রম শুরু করবে। ব্ল্যাঙ্ক-চেক কোম্পানিগুলো সিঙ্গাপুরে নিবন্ধনের সুযোগ পেলে এ ধারা আরো বৃদ্ধি পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সূত্র: গালফ নিউজ
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর