ভারতের ভ্যাকসিন কূটনীতিতে কোনো ছেদ পড়ছে না। বিদেশে ভ্যাকসিন সরবরাহের যে প্রকল্প নিয়েছিল ভারত সরকার তাও বন্ধ করা হচ্ছে না। তবে যেভাবে ঢালাও ভ্যাকসিন পাঠানো হচ্ছিলো বিদেশে তাতে কিছু পরিবর্তন আনা হচ্ছে। ভারতে কোভিড সংক্রমণের দ্বিতীয় সার্জ আসার প্রেক্ষিতে দেশের ভ্যাকসিন চাহিদার কথা মাথায় রেখে বিদেশে সরবরাহে কিছু রাশ টানা হচ্ছে। তবে সরবরাহ একদম বন্ধ করা হচ্ছে না। ভারত সরকার ভ্যাকসিন রপ্তানি সম্পর্কে তাদের নীরবতা ভেঙে এই তথ্য জানিয়েছে। উল্লেখ্য সংবাদসংস্থা রয়টার্স বুধবার রাতে ভ্যাকসিন রপ্তানি বন্ধ করা হল বলে সংবাদ পরিবেশনের পর তীব্র প্রতিক্রিয়া হয় আন্তর্জাতিক মহলে, এই প্রশ্নও ওঠে যে ভারত কি রাষ্ট্রসংঘের কোভ্যাকস নীতি থেকে সরে আসছে? ভারত সরকারের বয়ানে সেই জট কাটলো। ভারত ৭৫টি দেশে ৬০ মিলিয়ন ডোজ ভ্যাকসিন সরবরাহ করেছে। কিন্তু দেশে করোনা আবার ছড়িয়ে পড়ার প্রেক্ষিতে ভ্যাকসিন সরবরাহের নিরবচ্ছিন্নতায় ছেদ পড়েছিল। সংবাদসংস্থার খবরের পর বিভ্রান্তি শুরু হয়। বৃহস্পতিবার ভারতে এক লাখ নতুন কোভিড সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। দ্বিতীয় সার্জ এর পরে মোট চার লাখ লোক আক্রান্ত হয়েছেন। সেরাম ইনস্টিটিউট এর বানানো অক্সফোর্ড-এস্ট্রোজেনেকা ভ্যাকসিন কোভিশিল্ডকে বেশি নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে দেশের মানুষের কাছে তা পৌঁছে দেয়ার জন্যে। তবে বিদেশে কোভিশিল্ড রপ্তানি বন্ধ করা হচ্ছে না। ধাপে ধাপে তা রপ্তানি করা হবে বলে জানিয়েছে ভারত সরকার।