× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

লঞ্চেও অর্ধেক যাত্রী, ভাড়া বাড়ছে

দেশ বিদেশ

স্টাফ রিপোর্টার
১ এপ্রিল ২০২১, বৃহস্পতিবার

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে নৌযানেও ধারণক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী পরিবহনের প্রস্তাব করা হয়েছে। এক্ষেত্রে ৬০ শতাংশ ভাড়া বৃদ্ধির প্রস্তাব দিয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। গতকাল বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ও নৌযান মালিকদের মধ্যে এ বিষয়ে বৈঠক হয়। এ ছাড়া, বুধবার সচিবালয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে লঞ্চ, ফেরি, স্টিমারসহ জলযান সুষ্ঠুভাবে চলাচল ও যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণসংক্রান্ত এক বৈঠক হয়। এতে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ভাড়া বৃদ্ধির ইঙ্গিত দেন। তিনি বলেন, গণপরিবহনে ৫০ শতাংশ যাত্রী পরিবহনে সরকারি  নির্দেশনা রয়েছে। করোনার সময়ের জন্য লঞ্চের ভাড়া পুনঃনির্ধারণ করা হবে।  নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এসেছে। গতবারের চেয়ে একটু বেশি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
প্রয়োজন ছাড়া মানুষকে যাতায়াত না করার অনুরোধ জানান তিনি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এর ব্যত্যয় ঘটলে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। যাত্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে।
 বৈঠকে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী, নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু জাফর  মো. জালাল উদ্দিন, বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক উপস্থিত ছিলেন।  বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, করোনা রোধে স্বাস্থ্য বিভাগের প্রণীত স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে অনুসরণ করে সদরঘাটসহ অন্যান্য নৌবন্দরে যাত্রীসহ নৌযান পরিচালনার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে; লঞ্চের অনুমোদিত ভাড়ার চেয়ে বেশি ভাড়া আদায়ে এবং নদীর মাঝপথে নৌকাযোগে যাত্রী ওঠালে সংশ্লিষ্ট লঞ্চ মালিক/চালকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ঈদের আগে ও পরের তিনদিন নিত্যপ্রয়োজনীয় ও দ্রুত পচনশীল পণ্যবাহী ট্রাক ছাড়া সাধারণ ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান ফেরিতে পারাপার বন্ধ রাখতে হবে। রাতের বেলায় সব মালবাহী জাহাজ, বালুবাহী বাল্কহেড চলাচল বন্ধ রাখতে হবে। আগামী ১১ থেকে ১৭ই মে পর্যন্ত দিনের বেলায়ও বালুবাহী বাল্কহেড চলাচল বন্ধ রাখতে হবে। কোনো ক্রমেই লঞ্চের যাত্রী ও মালামাল ওভারলোড করা যাবে না। এ ছাড়া আরো সিদ্ধান্ত হয় যাত্রীবাহী নৌযানে সদরঘাট থেকে ঈদের আগে পাঁচ দিন মালামাল/মোটরসাইকেল পরিবহন সম্পূর্ণরূপে বন্ধ এবং ঈদের পরে পাঁচ দিন অন্যান্য নদীবন্দর থেকে আসা নৌযানে মালামাল/মোটরসাইকেল পরিবহন সম্পূর্ণরূপে বন্ধ রাখতে হবে। রাতের বেলায় স্পিডবোট চলাচল বন্ধ থাকবে। দিনের বেলায় স্পিডবোট চলাচলের সময় যাত্রীদের লাইফ জ্যাকেট নিশ্চিত করতে হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর