দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের কর্মকাণ্ডের কারণে দেশটির ওপর চাপ বাড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান এবং ইন্দোনেশিয়া। একটি প্রবালপ্রাচীর নিয়ে ফিলিপাইনের সঙ্গে বেইজিংয়ের চলমান বিবাদের প্রেক্ষিতেই দেশটিকে আরো চাপে রাখতে চাইছে তারা। সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। স্থানীয় সময় সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন টুইটারে লিখেন, ‘আমাদের মিত্র ফিলিপাইনের পাশে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। স্পার্টলি দ্বীপপুঞ্জে হুইটসান রীফে চীনের কর্মকান্ডকে ‘সামুদ্রিক মিলিশিয়া’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন তিনি।
ব্লিনকেন আরো বলেন, ‘আমরা সবসময়ই আমাদের মিত্র এবং নীতিমালাভিত্তিক আন্তর্জাতিক ব্যবস্থার পাশে রয়েছি।’ অন্যদিকে রোববার এক বৈঠকে জাপান ও ইন্দোনেশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রীরা চীনকে একটি সতর্কতামূলক বার্র্তা পাঠানোর বিষয়ে একমত হন। দেশ দু’টি জানায় আঞ্চলিক নৌপথকে ঘিরে উত্তেজনা আরো বৃদ্ধি করবে চীনের এমন কোন কার্যকলাপের পুরোপুরি বিরুদ্ধে তারা। জাপানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী নবোও কিশি জানান, তারা নিজেদের প্রতিরক্ষা সহযোগিতামূলক কার্যক্রম আরো বৃদ্ধি করবে এবং দক্ষিণ চীন সাগরে একটি যৌথ মহড়ার আয়োজন করবে তারা।
এ মাসের শুরুতেই ফিলিপাইনের পক্ষ থেকে বলা হয়, পশ্চিম ফিলিপাইন সাগরে একটি বিতর্কিত প্রবালপ্রাচীরের চারপাশে চীনের ২০০টিরও বেশি জাহাজ চলাচল করছে। ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্টশিয়াল কমিউনিকেশনস অপারেশনস অফিসের (পিসিওও) ফেসবুক পেজে পশ্চিম ফিলিপাইন সাগরে দায়িত্বরত ন্যাশনাল টাস্কফোর্স এক ঘোষণায় জানায়, জুলিয়ান রিফের (হুইটসান রিফের অফিসিয়াল নাম) আশেপাশে চীনের জাহাজ জড়ো হচ্ছে।
উল্লেখ্য, চীন ও ফিলিপাইন উভয়েই এই প্রবালপ্রাচীরটির মালিকানা দাবি করে আসছে। ভিয়েতনামও প্রবালপ্রাচীরটি নিজেদের বলে দাবি জানিয়ে আসছে। প্রবালপ্রাচীর নিয়ে চীনের কর্মকান্ডের প্রেক্ষিতে কূটনৈতিক প্রতিবাদ জানিয়েছে ফিলিপাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রনালয়। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য তারা নৌ ও উপকূলরক্ষী জাহাজ মোতায়েন করেছে। ফিলিপাইনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ডেলফিন বলেন, ‘আমরা আমাদের সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং সামুদ্রিক সম্পদ সুরক্ষার জন্য প্রস্তুত রয়েছি।’
সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড