মোংলা বন্দরের স্থাপনা ও সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা, পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে নিয়োগ দেয়ার বিধান রেখে ‘মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ বিল-২০২১’ জাতীয় সংসদে উত্থাপন করা হয়েছে। বিলে নির্ধারিত মেয়াদ, শর্ত ও পদ্ধতিতে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে নিয়োগ দেয়ার অনুমতির বিধান রাখা হয়েছে। গতকাল শনিবার স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বিলটি সংসদে উত্থাপন করেন। উচ্চ আদালতের নির্দেশে ‘মোংলা পোর্ট অথরিটি অর্ডিন্যান্স-১৯৭৬’-এর পরিবর্তে নতুন আইন প্রণয়নের লক্ষ্যে সংসদে আনীত বিলটি অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়েছে। কমিটিকে দুই মাসের মধ্যে সংসদে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। সংসদে উত্থাপিত বিলে কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব পালনে প্রয়োজনীয় সংখ্যক কমিটি গঠনের বিধান রাখা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, বন্দরের বিভিন্ন এলাকা ও স্থানকে সংরক্ষিত এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা যাবে। প্রয়োজনে দেশের যেকোনো স্থানে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের কার্যালয় স্থাপন করা যাবে। প্রস্তাবিত আইনে বন্দরে পণ্য বোঝাই, সংরক্ষণ, খালাস ও সরবরাহের জন্য প্রয়োজনে প্রচলিত পদ্ধতি অনুসরণ করে অপারেটর নিয়োগের বিধান সংযোজন করা হয়েছে। এই আইনের অধীনে সংঘটিত অপরাধের বিচার ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী হবে।
এক্ষেত্রে মোবাইল কোর্টেরও বিধান রাখা হয়েছে। কেউ বন্দরের টোল, রেট, মাশুল ইত্যাদি ফাঁকি দিলে একমাসের জেল অথবা এক লাখ টাকা জরিমানা কিংবা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।