৭ দিনের লকডাউনের প্রতিবাদে বন্দরনগরীসহ চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলায় বিক্ষোভ করেছেন ব্যবসায়ীরা। এ সময় তারা এই লকডাউন আর মানবেন না বলে ঘোষণা দেন। সোমবার সকাল থেকেই চট্টগ্রাম নগরীর নিউমার্কেট মোড়, রিয়াজউদ্দিন বাজার তামাকমুণ্ডি লেইন, হাটহাজারী ও লোহাগাড়া উপজেলায় ব্যবসায়ীরা বিক্ষোভ করেন। জানা যায়, চট্টগ্রামে লকডাউনের বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ হয় নগরীর রিয়াজুদ্দিন বাজারের তামাকমুণ্ডি লেনে। বিকাল তিনটার দিকে তামাকমুণ্ডি লেনে কয়েক হাজার ব্যবসায়ী-কর্মচারী রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেন। এ সময় তারা লকডাউনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেন। বণিক সমিতির সভাপতি আবু তালেব, সিনিয়র সহ-সভাপতি সরওয়ার কামাল, সাধারণ সম্পাদক আহমদ কবির দুলাল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুজাম্মেল হক এ সময় বক্তব্য রাখেন। ব্যবসায়ী নেতারা বলেন, সারা দেশে সবকিছু স্বাভাবিকভাবেই চলছে।
বইমেলা, বেসরকারি অফিস সব চললে দোকানপাট কেন বন্ধ থাকবে? আমাদের দাবি, স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমাদের দোকান খোলা রাখার অনুমতি দেয়া হোক। দোকানপাট বন্ধ থাকলে পরিবার পরিজন নিয়ে না খেয়ে মরতে হবে আমাদের। জানা যায়, লকডাউনের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামে ব্যবসায়ীদের প্রথম বিক্ষোভ শুরু হয় হাটহাজারীতে। সেখানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গিয়ে একটি মার্কেট বন্ধ করে দেয়ার প্রতিবাদে ব্যবসায়ীরা তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ শুরু করে। পরে প্রশাসনের আশ্বাসে তারা আন্দোলন স্থগিত করেন। এর আগে রোববার শপিংমল ও দোকানপাট নির্দিষ্ট সময়ের জন্য খোলা রাখার দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি চট্টগ্রাম জেলার নেতারা। সে সময় তারা চসিক মেয়র, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক, সিএমপি কমিশনার বরাবরে স্মারকলিপিও দেন। এদিকে লকডাউনের প্রথমদিনে নগরীর অধিকাংশ দোকানপাট ছিল বন্ধ। তবে কিছু হোটেল- রেস্টুরেন্টকে শাটার অর্ধেক বন্ধ করে বিকিকিনি করতে দেখা যায়। রাস্তায় গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও রিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও প্রাইভেট বাহন ছিল চোখে পড়ার মতো। রাস্তার মোড়ে মোড়ে মোটরসাইকেল নিয়ে যাত্রী উঠানামা করছিলেন অনেকে। তবে যাত্রীদের অসহায়ত্বের সুযোগে চালকরা ইচ্ছামতো ভাড়া হাঁকাচ্ছিলেন বলেও অভিযোগ পাওয়া যায় এসময়।