× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

‘শিশুবক্তা’ মাদানী আটক মুক্তি দাবি হেফাজতের

শেষের পাতা

স্টাফ রিপোর্টার
৮ এপ্রিল ২০২১, বৃহস্পতিবার

‘শিশুবক্তা’ খ্যাত রফিকুল ইসলাম মাদানীকে আটক করেছে র‌্যাব। নেত্রকোনা থেকে তাকে আটক করা হয়। রাষ্ট্রবিরোধী উস্কানিমূলক, ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে তাকে আটক করা হয়েছে বলে বুধবার দুপুরে র‌্যাব’র গণমাধ্যম শাখা থেকে জানানো হয়েছে।
এর আগে মাওলানা রফিকুল ইসলামকে মঙ্গলবার রাতে নেত্রকোনায় তার নিজ বাড়ি থেকে র‌্যাব  পরিচয়ে তুলে নেয়া হয় বলে অভিযোগ করে হেফাজতে ইসলাম। একই সঙ্গে তার মুক্তি দাবি করে সংগঠনটি। হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।
এতে বলা হয়, মাওলানা রফিকুল ইসলাম একজন জনপ্রিয় ওয়ায়েজ। কোরআন-হাদিসের আলোকে সমকালীন প্রেক্ষাপট নিয়ে গঠনমূলক আলোচনা করেন। তার বয়ানে দেশের কল্যাণে মানুষের অন্তরের ঈমানী চেতনা জাগ্রত হয়। দেশের প্রতি ভালোবাসার তাগিদে জনগণকে অন্যায় জুলুম ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে জাগ্রত হওয়ার আহ্বান জানান।
এটা তার অপরাধ হলে দেশের প্রচলিত আইনের মাধ্যমে তাকে আইনের আওতায় আনতে পারতেন।
কিন্তু কোনো ধরনের পূর্ব মামলা ছাড়া বিনা কারণে তাকে ধরে নিয়ে যাওয়া নাগরিকদের প্রতি রাষ্ট্রের অন্যায় কি পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে এটা তার জলন্ত প্রমাণ।
বিবৃতিতে বলা হয়, অবিলম্বে মাওলানা রফিকুল ইসলামকে মুক্তি দিন। অন্যথায় এদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব, আলেম-ওলামার ইজ্জত রক্ষা এবং মসজিদ মাদ্রাসা হেফাজতে দল-মত নির্বিশেষে লড়াই করতে আপামর জনগণ সর্বদা প্রস্তুত আছে ইনশাআল্লাহ্‌। কোনো অপশক্তির গুম, খুন, হুমকি-ধমকিকে নায়েবে রাসূল ওলামায়ে ক্বেরাম ও তৌহিদী জনতা পরোয়া করে না।
এদিকে রফিকুল ইসলাম মাদানীকে আটকের প্রতিবাদে বুধবার বিকালে নেত্রকোনা শহরের মোক্তারপাড়া এলাকায় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশ, নেত্রকোনা শাখার ব্যানারে এই আয়োজন করা হয়। এ সময় আয়োজকরা রফিকুল ইসলামের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানিয়ে বলেন, রফিকুল ইসলাম মাদানী এখন কোথায় আছেন, তা তাদের জানা নেই। তাকে কেন আটক করা হয়েছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তা বলছে না। তাকে দ্রুত মুক্তি না দেয়া হলে হেফাজতের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনা করে কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে।
সংবাদ সম্মেলনে রফিকুল ইসলাম মাদানীর বড় ভাই রমজান মিয়া বলেন, তার ভাই মঙ্গলবার রাতে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে ধর্মীয় সভা করে নিজের বাড়িতে আসেন। রাতের খাবার শেষে সবাই ঘুমিয়ে যান। রাত আড়াইটার দিকে র‌্যাব পরিচয়ে কিছু লোক প্রায় ১৯টি গাড়ি নিয়ে তাদের বাড়ি ঘেরাও করে। পরে রফিকুল ইসলাম মাদানী, তার বড় ভাই বকুল মিয়া (৩৭) ও তার দূরসম্পর্কের ভাতিজা এনামুল হককে (২৮) তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে বকুল মিয়াকে রাতেই ছেড়ে দেয়া হলেও অন্য দু’জনের খোঁজ তাদের জানা নেই। তার দাবি, রফিকুল ইসলাম মাদানীর ব্যবহৃত দু’টি মুঠোফোনসহ তাদের পরিবারের ছয়টি মুঠোফোন জব্দ করে নিয়ে যায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর