× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

লন্ডনে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে আটকে রাখার অভিযোগ

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(৩ বছর আগে) এপ্রিল ৮, ২০২১, বৃহস্পতিবার, ১০:৫৯ পূর্বাহ্ন

বৃটেনে নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত কাইয়া জাওয়ার মিন’কে দূতাবাসের বাইরে আটকে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, মিলিটারি অ্যাটাচে দখল করে নিয়েছে দূতাবাস। মিয়ানমারের মিলিটারি অ্যাটাচে এর আগে দূতাবাসের সব স্টাফকে ভবন ছেড়ে যেতে নির্দেশ দেয়। এরপর কাইয়া জাওয়ার মিন’কে জানিয়ে দেয়া হয় যে, তিনি এখন আর মিয়ানমারের প্রতিনিধি নেই। অর্থাৎ তিনি আর মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত নন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। কাইয়া জাওয়ার মিন বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন যে, তাকে আটকে রাখা হয়েছে। ১লা ফেব্রুয়ারি সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বেসামরিক নেত্রী অং সান সুচিকে ক্ষতাচ্যুত করে সামরিক জান্তা।
সেই থেকে বিক্ষুব্ধ জনতার ওপর গুলি করে তারা হত্যা করেছে কমপক্ষে ৫৫৭ জনকে। মিয়ানমার যখন বিক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে তখন অং সান সুচির পক্ষ নেন রাষ্ট্রদূত কাইয়া জাওয়ার মিন। তিনি সুচির মুক্তি দাবি করেন। ফলে সামরিক জান্তার রোষানলে পড়েন তিনি। এরপর বুধবার লন্ডনে দূতাবাসে যে কা- ঘটানো হয়েছে তাকে একরকম অভ্যুত্থান বলে আখ্যায়িত করেছেন কাইয়া জাওয়ার মিন। তিনি বলেছেন, এই রকম অভ্যুত্থান হতে দেয়া উচিত নয়।

রাষ্ট্রদূত কাইয়া জাওয়ার মিন’কে লন্ডনের মেফেয়ারে অবস্থিত দূতাবাসের বাইরে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। এমন ছবি প্রকাশ পেয়েছে। তিনি সেখানে মেট্রোপলিটন পুলিশের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলছিলেন। দূতাবাস ভবনে কোনো স্টাফকে যেন ঢুকতে দেয়া না হয় এ জন্য সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এরপর থেকেই দূতাবাস ভবনের বাইরে সমবেত হন বিক্ষোভকারীরা। উল্লেখ্য, মার্চে অং সান সুচিকে মুক্তি দেয়ার আহ্বান জানান কাইয়া জাওয়ার মিন। এ সময় তিনি বিবিসিকে বলেছিলেন, মিয়ানমার বিভক্ত হয়ে পড়েছে। এখানে গৃহযুদ্ধের ঝুঁকি আছে। তিনি আরো উল্লেখ করেন, তার এই মন্তব্য দেশের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা নয়। তিনি দেশের পরিস্থিতিতে মধ্যবর্তী অবস্থানে রয়েছেন। মিয়ানমারের এই রাষ্ট্রদূত একজন সাবেক কর্নেল। তার এমন বক্তব্যকে সাহসী এবং দেশপ্রেমিকের বলে মন্তব্য করেছেন বৃটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক রাব।

রয়টার্সের রিপোর্টে বলা হয়েছে লন্ডনে দূতাবাসের চার্জ ডি’অ্যাফেয়ার্সের দায়িত্ব নিয়েছেন উপরাষ্ট্রদূত চিট উইন। এর প্রেক্ষিতে বৃটেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, লন্ডনে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতের বর্তমান মর্যাদা কি তার ক্লারিফিকেশন চাইছে বৃটেন। কূটনৈতিক প্রোটোকলের অধীনে তা করা হচ্ছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর