করোনার মধ্যে ঢাকায় ১৪ই এপ্রিল অনুষ্ঠেয় এএফসি কাপের প্লে-অফের ম্যাচটি আয়োজনের অসম্মতি জানিয়ে এএফসিকে চিঠি দিয়েছিল আবাহনী লিমিটেড। কিন্তু আবাহনীর অনুরোধ রাখেনি এশিয়ান ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। নির্দিষ্ট সূচি অনুযায়ী আবাহনীকে ম্যাচটি আয়োজন করতে বলেছে এএফসি। বাধ্য হয়েই ম্যাচটি আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে আবাহনী। এই ম্যাচে ঢাকা আবাহনীর প্রতিপক্ষ মালদ্বীপের ঈগলস। ওইদিন মালদ্বীপের ক্লাবটিকে হারাতে পারলে ২১শে এপ্রিল ভারত যেতে হবে পরের প্লে-অফ খেলতে। ২১শে এপ্রিলের প্লে-অফ বিজয়ী দল ১৪ই মে মালেতে মূল পর্বে খেলার সুযোগ পাবে। এএফসি কাপ ছাড়াও প্রিমিয়ার লীগের দ্বিতীয় পর্বের জন্য আবাহনী ফিরিয়ে আনছে তাদের ঘরের ছেলে সানডে সিজোবাকে।
তাকে নিতে আবাহনী ছেড়ে দিয়েছে ব্রাজিলের ফ্রান্সিসকো তোরেসকে। লীগে ১২ ম্যাচে ৭ গোল করেছেন তোরেস। তবে তার খেলায় আবাহনী খুশি ছিল না বলে জানা গেছে। রোববার ঢাকায় আসছেন সানডে সিজোবা। ১১ই এপ্রিল শেষ হওয়ার কথা লকডাউনের। এর মধ্যে বিদেশি দলের ঢাকায় পা রাখা মানে কোয়ারেন্টিন পর্ব ঠিকভাবে মানার বিষয় নিয়ে ভাবতে হবে। সেক্ষেত্রে ১৪ই এপ্রিল ম্যাচ কীভাবে আয়োজন করা যাবে, সেটিও ধোঁয়াশায় পড়ে যায়। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আবাহনীর পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হচ্ছে বলে জানান আবাহনীর ম্যানেজার সত্যজিৎ দাস রুপু। এনিয়ে তিনি বলেন, ‘ম্যাচটি নিয়ে আগেই মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। আরও কিছু বিষয় চূড়ান্ত করার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা চলছে আমাদের।’ মালদ্বীপের ক্লাব ঈগলস ভুটানের থিম্পু এফসিকে ২-০ গোলে হারিয়েছে। ঈগলস সম্পর্কে আবাহনীর কোচ মারিও লেমস বলেন, ‘তারা ভালো দল। গোলরক্ষক ও উইংয়ে ভালো মানের বিদেশি খেলোয়াড় রয়েছে। এরপরও আশা করি আমরা জিতব।’ গত বছর আবাহনী মালদ্বীপের মাজিয়ার বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে গোলের হিসাবে প্লে-অফ থেকে ছিটকে গেছে। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগের চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস গতবারের মতো এবারও এএফসি কাপের মূল পর্বে খেলছে।