ব্যাডমিন্টনে নতুন মুখের সন্ধান পাওয়া গেছে। বঙ্গবন্ধু নবম বাংলাদেশ গেমসে নারী এককে প্রথমবারের মতো দেশসেরা হয়েছেন বাংলাদেশ আনসারের ঊর্মি আক্তার। ফাইনালে তিনি ২-১ সেটে হারান বাংলাদেশ আর্মির বৃষ্টি খাতুনকে। পুরুষ এককে নতুন মুখ সিলেটের গৌরব সিংহ। ফাইনালে তিনি হারিয়েছেন বাংলাদেশ আর্মির আল আমিন জুমারকে। দেশের নারী ব্যাডমিন্টন মানেই শাপলা-এলিনার রাজত্ব। শেষ দশটি জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপের সবকটিতেই শিরোপা জিতেছেন এই দুই নারী শাটলার। যার আটটিতে শাপলা আর দুটিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন এলিনা খান।
ডাবলস-মিক্সড ডাবলসেও শিরোপা উঠতো তাদের হাতে। ২০১৩ সালে সবশেষ বাংলাদেশ গেমসে সোনা জিতেছিলেন শাপলা আক্তার। অসুস্থতার কারণে দুইজনের কেউ খেলছেন না বঙ্গবন্ধু নবম বাংলাদেশ গেমসে। এদের অবর্তমানে নারী এককে সেরা হয়েছেন উর্মি আক্তার। বাংলাদেশ আর্মির বৃষ্টি খাতুনকে ২-১ সেটে হারিয়ে সোনা জিতেছেন খুলনার এই নারী শাটলার। তবে নারী দ্বৈতে আর্মির বৃষ্টি খাতুন ও ফাতেমা বেগম জুটির কাছে স্বর্ণ হারিয়েছেন আনসারের উর্মি আক্তার ও রেশমা আক্তার। ২০১৬ সালে সিনিয়র ব্যাডমিন্টর শুরু উর্মির। এরপর নিয়মিত খেলেছেন জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে। কিন্তু শাপলা-এলিনার দাপটে কখনো সুবিধা করতে পারেননি। দেশসেরা এই দুই নারী শাটলারের অনুপস্থিতিতে সদ্য সমাপ্ত র্যাঙ্কিং টূর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন উর্মি। এর আগে তার সেরা সাফল্য ছিল জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপের কোয়ার্টার ফাইনাল। খুলনার এই শাটলার স্বর্ণ জিতে বলেন, ‘আমি দ্বৈতে সোনা হারানোর পর জেদ চেপেছিল মনে, সিঙ্গেলে আমি জিতবোই। কিন্তু প্রথম সেট হারার পর আমার মনোবল ভেঙে যায়। তখন আমার কোচ রাজু ভাই সাহস যুগিয়েছেন। আমি আস্তে আস্তে খেলায় ফিরে পরের দুই সেট জিতে স্বর্ণ নিজের করে নেই’। শাপলা-এলিনা না থাকাতে তার এই চ্যাম্পিয়নশিপ সহজ হয়েছে বলে মনে করেন এই নারী শাটলার। তবে তারা থাকলে টুর্নামেন্টটি আরো জমতো জানিয়ে উর্মি বলেন, ‘তারা অনেক অভিজ্ঞ তাদের সঙ্গে খেললে অনেক কিছু শেখা যায়। তাদের সঙ্গে খেললে নিজেদের উন্নতিটাও বুঝতে পারতাম’।
এদিকে মাত্র ১৮ বছর বয়সে পুরুষ এককের স্বর্ণ জিতেছেন সিলেট জেলা ক্রীড়া সংস্থার গৌরব সিংহ। ক’দিন আগে দেশের অন্যতম সেরা শাটলার সালমান খানকে হারিয়ে র্যাঙ্কিং টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হন গৌরব। প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ গেমসে অংশ নিয়েই পদক জেতা গৌরব স্বপ্ন দেখেন একদিন এসএ গেমসে পদক জিতবেন। এজন্য তিনি ফেডারেশনের সহযোগিতা চান। তার বিশ্বাস ফেডারেশন যদি বিদেশি কোচের অধীনে দীর্ঘমেয়াদী অনুশীলনের ব্যবস্থা করে তাহলে এসএ গেমসে পদক জেতা সম্ভব।