সিলেট নগর এলাকার থানা ও ফাঁড়িতে বসানো হয়েছে ‘এলএমজি পোস্ট’। এজন্য বালু ও মাটির বস্তা দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে বাঙ্কার। পুলিশের সদস্যরা এলএমজি নিয়ে সর্বক্ষণ এতে পাহারা দিচ্ছেন। সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের তরফ থেকে এই বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন- থানা, ফাঁড়ি ছাড়াও পুলিশের বিভিন্ন স্থাপনায় একইভাবে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এই নিরাপত্তা ব্যবস্থা বহাল থাকবে। সিলেট মেট্রো পলিটন পুলিশের অধীনে ৬টি থানা ও ৮টি পুলিশ ফাঁড়ি রয়েছে। সম্প্রতি দেশে একটি উগ্রবাদী গোষ্ঠী থানায়, ফাঁড়িসহ পুলিশের স্থাপনাগুলোতে হামলা ভাঙচুর চালাচ্ছে।
এ ছাড়া তারা সরকারি সম্পদ নষ্টেরও চেষ্টা চালায়। সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের সিনিয়র কর্মকর্তারা প্রতিটি থানা ও ফাঁড়িতে এলএমজি পোস্ট বসানোর সিদ্ধান্ত নেন। এরই প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার রাত থেকে প্রতিটি থানা ও ফাঁড়িতে এই পোস্ট বসানোর কাজ শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে কাজ শেষ হয়ে গেছে। গতকাল থেকে চেকপোস্টের পাহারা শুরু হয়েছে। সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি (মিডিয়া) বিএম আশরাফ উল্লাহ তাহের মানবজমিনকে জানিয়েছেন, সিলেটের সব থানা ও ফাঁড়িতে ইতিমধ্যে এলএমজি পোস্ট স্থাপনের কাজ শেষ হয়েছে। এরই মধ্যে পাহারা দেয়া শুরু হয়েছে। শুধু থানা ও ফাঁড়িতে নয়, পুলিশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতেও একই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সরকারি সম্পদ রক্ষাসহ সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে এটি করা হয়েছে বলে জানান তিনি। যেসব থানায় এলএমজি পোস্ট বসানো হয়েছে সেগুলো হলো- কোতোয়ালি থানা, দক্ষিণ সুরমা থানা, মোগলাবাজার থানা, শাহপরাণ (রহ.) থানা, এয়ারপোর্ট থানা ও জালালাবাদ থানায়। পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এলএমজি পরিচালনায় দক্ষ পুলিশ কর্মকর্তাদের এসব পোস্টের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে পুলিশ সদস্যরা এসব পোস্টে দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবেন। এছাড়া থানার অধীন ফাঁড়িগুলোও থানার পুলিশ কর্মকর্তারা তদারকি করবেন।