বৃটেনের রাজধানী লন্ডনে নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত জ জোয়া মিন'কে দূতাবাস থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। বুধবার ওই ঘটনার পর বুধবার তিনি দূতাবাস ভবনের বাইরেই রাস্তায় তার গাড়িতে রাত কাটিয়েছেন। এমন আচরণের নিন্দা জানিয়েছেন বৃটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক রাব। তবে মিয়ানমার যে নতুন রাষ্ট্রদূত নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা মেনে নিয়েছে বৃটেন। ভিয়েনা কনভেনশন অনুসারে রাষ্ট্রদূত যে দেশে কাজ করছিলেন সেদেশকে জানানোর পরই ওই রাষ্ট্রদূতের চাকরি আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হয়ে যায়। বৃটেন এই চুক্তি মেনে চলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, তারা এসংক্রান্ত নোটিস পেয়েছে, এবং মিয়ানমার সরকারের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছে। বিবিসিরি খবরে জানানো হয়েছে, উপ-রাষ্ট্রদূত চিট উইনকে দূতাবাসের প্রধান করা হয়েছে।
তবে নতুন রাষ্ট্রদূত নিয়োগের বিষয়ে বৃটেনকে কিছু জানানো হয়নি।
জ জোয়া মিন বলেন, দূতাবাসে কর্মরত লোকজনকে ভবন ছেড়ে চলে যাওয়ার আদেশ দেয়া হয়েছে। তাকে রাষ্ট্রদূতের পদ থেকেও বহিস্কার করা হয়েছে। গত ১লা ফেব্র“য়ারি গণতান্ত্রিক শাসকদের উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। প্রথম থেকেই এর সমালোচনা করে আসছিলেন জ জোয়া মিন। জানিয়েছিলেন অং সান সুচির মুক্তিও। বহিস্কার করার বিষয়টিকে জ জোয়া মিন অভ্যুত্থান হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি বৃটিশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, নতুন রাষ্ট্রদূতকে যাতে স্বীকৃতি না দেয়া হয়।