৯৯ বছর বয়সে মারা গেলেন বৃটেনের রাণির দাম্পত্য সঙ্গী প্রিন্স ফিলিপ। তার মৃত্যুতে রাজ পরিবারের উদ্দেশ্যে শোকবার্তা পাঠাচ্ছেন বিশ্ব নেতারা। বিভিন্ন দেশের রাজা ও রাষ্ট্রপ্রধানরা সম্মান জানিয়েছেন প্রিন্স ফিলিপের প্রতি। রাণির দাম্পত্য সঙ্গী হিসেবে বিভিন্ন দেশে শত শত সফরে সঙ্গে ছিলেন প্রিন্স ফিলিপ। অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন এক বিবৃতিতে বলেন, তিনি এমন একটি প্রজন্মের মানুষ ছিলেন যাদেরকে আমরা আর কখনো দেখতে পাব না। এডিনবার্গের ডিউক প্রিন্স ফিলিপ ছিলেন রাণির ভরসার জায়গা এবং অস্ট্রেলিয়ার কয়েক ডজন সংস্থার পৃষ্ঠপোষক। অস্ট্রেলিয়ার সাবেক নেতা জুলিয়া গিলার্ডও বার্তা পাঠিয়েছেন।
সুইডেনের রাজা কার্ল গুসতাফ তার বার্তায় বলেন, প্রিন্স ফিলিপ ছিলেন আমার পরিবারের বহু বছরের বন্ধু।
এই সম্পর্ক আমাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সুইডেনের রাজ পরিবারের মুখপাত্র মারগারেটা থরগ্রেন বিবিসিকে বলেন, সুইডিশ রাজা ও প্রিন্স ফিলিপ একসঙ্গে সমুদ্রপথে ইংল্যান্ড গেছেন। সেসময় তাদের দুজনের মধ্যে বন্ধুত্বের সূচনা হয়েছিল।
নেদারল্যান্ডের রাজ পরিবারের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তারা প্রিন্স ফিলিপকে মর্যাদা ও শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছে। তিনি তার দায়িত্ব ও বৃটিশ জনগণের জন্য তার জীবন উতসর্গ করেছিলেন। যুক্তরাষ্ট্র থেকে বার্তা দিয়েছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ। তিনি বলেন, প্রিন্স ফিলিপ একটি দীর্ঘ এবং অসাধারণ জীবন পার করেছেন। নিজেকে তিনি প্রয়োজনীয় কাজে নিয়োযিত রেখেছিলেন। বেলজিয়ামের রাজা ফিলিপ্পে বৃটিশ রাণির কাছে ব্যক্তিগতভাবে শোকবার্তা পাঠিয়েছেন। এতে তিনি রাণির সঙ্গে সরাসরি কথা বলার আশা প্রকাশ করেছেন।
শোক জানিয়েছেন মাল্টার প্রধানমন্ত্রী রবার্ট আবেলা। তিনি বলেন, প্রিন্স ফিলিপ মাল্টাকে তার বাড়ির মতো দেখতেন এবং প্রায়ই এখানে আসতেন। তার মৃত্যুতে আমি দুঃখ ভারাক্রান্ত হয়েছি। মাল্টার মানুষ তাকে আজীবন মনে রাখবে। নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডেন শোকবার্তায় লিখেছেন, নিউজিল্যান্ডের সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে আমি বৃটিশ রাজ পরিবার ও রাণি এলিজাবেথের প্রতি সমবেদনা জানাতে চাই। এদিকে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তার বার্তায় বলেছেন, তার চিন্তায় বৃটিশ জনগণ ও রাজপরিবার রয়েছে। একইসঙ্গে প্রিন্স ফিলিপের অসাধারণ সামরিক জীবন এবং সমাজ সেবায় তার অবদানের কথা স্মরণ করেন নরেন্দ্র মোদি।