× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার থানা-ফাঁড়িতে ২৭ এলএমজি পোস্ট

শেষের পাতা

স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে
১০ এপ্রিল ২০২১, শনিবার

নিরাপত্তা জোরদারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন থানা, পুলিশ ফাঁড়ি, পুলিশ লাইন্স ও এসপি অফিসে এলএমজি পোস্ট বসানো হয়েছে। এসব স্থানে মোট ২৭টি পোস্ট বসানো হয়। জেলা পুলিশ সূত্র জানায়- জেলার ৯টি থানা ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, আশুগঞ্জ, সরাইল, নাসিরনগর, নবীনগর, বাঞ্ছারামপুর, কসবা, আখাউড়া ও বিজয়নগর থানায় ৪টি পুলিশ ফাঁড়ি, জেলা শহরের ১ ও ২ নং পুলিশ ফাঁড়ি, বিজয়নগরের ইসলামপুর ও আখাউড়ার ধরখার পুলিশ ফাঁড়ি, নাসিরনগরের চাতলপাড় ও বিজয়নগরের আউলিয়া বাজার তদন্ত কেন্দ্র, আশুগঞ্জ সার কারখানা, পিডিবি ও টোল প্লাজা, নবীনগরের শিবপুর, ছলিমগঞ্জ ও বিজয়নগরের চম্পনগরের ৬টি পুলিশ ক্যাম্পে এবং জেলা পুলিশ লাইন্সে ৪টি ও পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে ১টি এলএমজি চেকপোস্ট স্থাপন করা হয়েছে।
জেলার পুলিশ সুপার মো. আনিসুর রহমান জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার থেকে এই পোস্ট বানানোর কাজ শুরু হয়। অতিরিক্ত নিরাপত্তা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এগুলো স্থাপন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
গত ২৬, ২৭ ও ২৮শে মার্চ হেফাজতের হরতাল-আন্দোলনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহর, সরাইল ও আশুগঞ্জে তাণ্ডব চালানো হয়। ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন স্থাপনায়। পুলিশ সুপারের কার্যালয়, পুলিশ লাইন্স, থানা-ফাঁড়িতে হামলা হয় দফায় দফায়। এপিসি গাড়িসহ পুলিশের অর্ধশত গাড়ি আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হয়।
আগুনে সবকিছু পুড়িয়ে রেলস্টেশনকে অচল করে দেয়া হয়। এসব ঘটনার পর থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন রয়েছে। এমনি অবস্থায় নিরাপত্তা জোরদারে এলএমজি পোস্ট স্থাপন করা হলো। পুলিশ সূত্র জানায়, এসব পোস্টে আধুনিক ও ভারী অস্ত্রসহ প্রশিক্ষিত পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রত্যেকটি থানা-ফাঁড়ি ও ক্যাম্পে ইতিমধ্যেই জনবল বৃদ্ধিসহ পর্যাপ্ত অস্ত্র ও গোলাবারুদ সরবরাহ করা হয়েছে। তাছাড়া সামপ্রতিক অবস্থার প্রেক্ষিতে কোন দুষ্কৃতকারী যেন পুলিশ স্থাপনায় হামলা বা সহিংস ঘটনা ঘটাতে না পারে সে জন্য ঊর্ধ্বতন অফিসাররা নিয়মিত তদারকি করছেন বলেও সূত্র জানায়।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর