২০১৩ থেকে ২০২০। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগের (আইপিএল) গত ৮ আসরে হার দিয়ে শুরু হয় মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের। এর পাঁচবারই আবার শিরোপা জিতেছে তারা। ২০০৯ সালের আসর থেকে ২০১২ পর্যন্ত টানা চারবছর প্রথম ম্যাচ জেতে তারা। সেই চার আসরে তাদের সর্বোচ্চ সাফল্য ছিল ২০১০ সালে রানার্সআপ হওয়া। এছাড়া ২০১১ ও ২০১২ সালে সেরা চারে উঠেও শিরোপা ছুঁতে পারেনি তারা। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন মুম্বই আবারো হারে শুরু করেছে আইপিএল মিশন। চতুর্থদশ আইপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচে শুক্রবার রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের কাছে ২ উইকেটে হেরেছে রোহিত শর্মার দল।
আইপিএলের সবচেয়ে সফল দল মুম্বই প্রথমে ব্যাটিংয়ে নামে।
চেন্নাইয়ের চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে কোহলির দলের সামনে ১৬০ রানের লক্ষ্য দেয় রোহিতের মুম্বই। যেখানে বল হাতে প্রথমবারের মতো ৫ উইকেট নেন বেঙ্গালুরুর পেসার হার্শাল প্যাটেল।
এ লক্ষ্য টপকাতে নেমে দলকে কিছুটা ব্যাকফুটে রেখে যান ওপেনার ওয়াশিংটন সুন্দর। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে ক্রুনাল পান্ডিয়ার বলে আউট হন ১৬ বলে ১০ রান করে। একপ্রান্ত আগলে রাখেন আরেক ওপেনার কোহলি, তবে তাকে সঙ্গ দিতে পারেননি নতুন ব্যাটসম্যান রজত পাতিদার। তিনি ট্রেন্ট বোল্টের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন ৮ রান করে।
এরপর অজি অলরাউন্ডার গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে নিয়ে লড়ে যান কোহলি। কম যাননি ম্যাক্সওয়েলও। কিন্তু তৃতীয় উইকেটে দুজনের ৫২ রানের পার্টনারশিপের পর কোহলি আউট হন ৩৩ রান করে। ৫ রান পর একই পথে হাঁটেন ম্যাক্সওয়েল। ৩৯ রান করে জানসেনের বলে ফিরে যান তিনি। একই ওভারে জানসেনের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন শাহবাজ আহমেদ। মাত্র ১ রান আসে তার ব্যাট থেকে।
দ্রুত ৩ উইকেট হারিয়ে খানিক চাপে পড়ে যায় বেঙ্গালুরু। তবে বিপদ স্থায়ী হতে দেননি দলটির ঘরের ছেলে বনে যাওয়া এবি ডি ভিলিয়ার্স। নতুন ব্যাটসম্যান ড্যানিয়েল ক্রিস্টান ১ রানে সাজঘরে ফিরলে কাইল জেমিসনকে নিয়ে ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান। দলের জয়ের ২ রান বাকি থাকতে ৪৮ রানের মাথায় রান আউট হন তিনি। ডি ভিলিয়ার্সের আউটের পর শঙ্কা তৈরি হলেও সে শঙ্কা উড়িয়ে শেষ বলে গড়ানো ম্যাচে ২ উইকেটে জয় তুলে নেয় বেঙ্গালুরু।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নামা মুম্বই দুই ওপেনারের ব্যাটে ভালো শুরু পায়। তবে রোহিত রান আউটে কাটা পড়ে ফেরেন ১৯ রান করে। দ্বিতীয় উইকেটে ৭০ রানের জুটি গড়েন ক্রিস লিন ও সূর্যকুমার যাদব। ৩১ রান করে ফেরেন সূর্যকুমার। ফিফটির ঠিক আগে ৪৯ রান করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যান লিন।
এরপর ইশান কিশান ২৮ রানে আউট হলে শেষ দিকের ব্যাটসম্যানরা রানের গতি বাড়াতে ব্যর্থ হন। হার্দিক পান্ডিয়া, কাইরন পোলার্ড, ক্রুনালরা সুবিধা করতে না পারায় ১৫৯ রানে থামে মুম্বাইয়ের ইনিংস। এতে বড় অবদান হার্শালের। ৪ ওভারে মাত্র ২৭ রান দিয়ে ৫ উইকেট তুলে নেন তিনি। যেখানে ইনিংসের শেষ ওভারেই ৩ উইকেট শিকার করেন এই পেসার। খরচ করেন মাত্র ১ রান।