বঙ্গবন্ধু নবম বাংলাদেশ গেমসে রোইংয়ে সেরা কেরানীগঞ্জ। পুরুষ এবং নারী উভয় বিভাগেই স্বর্ণ জিতেছে তারা। রাজধানীর হাতিরঝিলে হয় দিনব্যাপী রোইং ইভেন্ট। পুরুষ ইভেন্টে আলী নগর রোইং ক্লাব আর নারীদের বিভাগে স্বর্ণ জিতেছে চুনকুটিয়া রোইং ক্লাব। নারীদের বিভাগে অংশগ্রহণকারী তিনটি দলই ঢাকার। রৌপ্য জিতেছে ইউনিভার্সেল রোইং ক্লাব আর ব্রোঞ্জ গিয়েছে নিউ ইয়াং স্টার রোইং ক্লাবের কাছে। একটি নৌকায় বৈঠা হাতে ছিলেন ছয় নারী রোয়ার। স্বর্ণজয়ী দলের দলপতি চঞ্চলা রায় পদক পেয়ে খুশির কথা জানিয়েছেন।
তবে অনুশীলনের সুযোগ পেলে বৈঠা হাতে আর ভালো করতে পারতেন বলে মনে করেন এই রোয়ার। পুরুষদের বিভাগে অংশ নিয়েছে পাঁচ দল। স্বর্ণজয়ী আলী নগর রোইং ক্লাবের দলপতি মনির হোসেন বলেন, ‘করোনা শুরু হওয়ার পর গত দু’বছর পানিতে বৈঠা হাতে নামা হয়নি। ঐতিহাসিক এই গেমসে খেলতে পেরে সরকার এবং ফেডারেশনের কাছে কৃতজ্ঞ।’ আগামীতে আরো আরো বড় আসরে দেশের পতাকা হাতে খেলার স্বপ্ন দেখেন মনির। পুরুষদের বিভাগে রৌপ্য জিতেছে নিউ গাজী ক্লাব আর ব্রোঞ্জ গেছে বরিশাল রোইং ক্লাবের কাছে। দশজন রোয়ার ছেলেদের একদলে বৈঠা হাতে ছিলেন। বাংলাদেশ রোইং ফেডারেশনের সদস্য মো. রাশিম মোল্লা রোইংয়ের ভেন্যু নিয়ে আপেক্ষ করে বলেন, রোইংয়ের জন্য নির্দিষ্ট একটি ভেন্যু পেলে এদেশের রোইং অনেকদূর এগিয়ে যেতো। হাতিরঝিল কিংবা উত্তরা লেক বরাদ্দ দিলে রোইংয়ের একটা গতি হতো।