× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ইটভাটায় বিপর্যস্ত সড়ক

বাংলারজমিন

মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
১১ এপ্রিল ২০২১, রবিবার

মির্জাগঞ্জে ইটভাটার ট্রাক-ট্রলিতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে গ্রামীণ সড়কগুলো। মহাসড়কও রেহাই পাচ্ছে না এর কবল থেকে। ধারণ ক্ষমতার চেয়ে বেশি মাটি ও ইটবোঝাই করে ট্রাক-ট্রলি পরিবহনের কারণে ভেঙে গেছে উপজেলার অধিকাংশ সড়ক। কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সড়কগুলো প্রায় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে গেছে। সরজমিন দেখা যায়, উপজেলার বটতলা থেকে  সিকদার বাড়ি হয়ে পশ্চিম সুবিদখালী পর্যন্ত প্রায় ২ কি. মি., ব্র্যাক অফিসের পর দক্ষিণ দিকে কাশিনাথ খালের মাথা পর্যন্ত ১ কি. এবং বেগমপুর থেকে ডোনরাবাদ পর্যন্ত ২ কি. মি. মোট ৫ কিলোমিটার পাকা গ্রামীণ  সড়কের পাশে গড়ে উঠেছে ৩টি ইটভাটা। গ্রামীণ পাকা সড়কে ১০ টনের বেশি ওজনের মালবাহী ট্রাক চলাচল সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকলেও এসব ভাটায় ৩০-৪০ টনের ট্রাকে প্রতিদিন মাটি ও ইট পরিবহন করা হয়। ফলে নির্মাণের কয়েক মাসের  মধ্যেই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কগুলো সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সড়কটি শুস্ক মৌসুমে ধুলোময় ও বর্ষা মৌসুমে কর্দমাক্ত হয়ে পড়ে।
এই এলাকার শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ  ঝুঁঁকি নিয়ে যাতায়াত করছে। ভারি ট্রাক পরিবহনের কারণে এসব সড়কের  সেতুগুলোও মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অন্যদিকে ফসলি জমি ও সরকারি খালের মাটি কাটার অভিযোগও রয়েছে এসব ভাটার বিরুদ্ধে। ফসলি জমির টপ সয়েল যাচ্ছে ইটভাটায়। ফলে হুমকিতে রয়েছে আবাদি জমি। এমনকি সরকারি খালের মাটি কেটে নেয়ারও অভিযোগ পাওয়া গেছে স্থানীয় আশ্রাফ ব্রিকস এর নামে।
উপজেলার সুবিদখালী এলাকার রিকশাচালক মনির বলেন, পাকা সড়ক কইরা লাভ কি? ইটভাটার মাটি ও ইট টানার ট্রাকে সড়কটা শেষ কইরা দিছে। ধুলায় আর ভাঙার কারণে গাড়ি চালানো যায় না। উপজেলার পশ্চিম সুবিদখালী গ্রামের সরোয়ার বলেন, ফসলি জমির মাটিগুলো এভাবে ইটভাটায় নিতে থাকলে ফসল ফলানোর মতো কোনো জমি থাকবে না। দেখছি আশ্রাফ ব্রিকফিল্ডের লোকেরা খালের মাটিও কেটে নিচ্ছে। আশ্রাফ ব্রিকস এর মালিক মো. আশ্রাফ আলী হাওলাদার বলেন, বিকল্প কোনো সড়ক না থাকার কারণে বাধ্য হয়ে গ্রামীণ সড়কগুলো ব্যবহার করা হয়। আমি যে কৃষি জমির মাটি কেটে আনি তা পুনরায় বালি দিয়ে ভরাট করে দিই। খালের মাটি সুলতান  চেয়ারম্যানের অনুমতি নিয়ে কাটা হয়েছে। ইউনাইটেড ব্রিকফিল্ড এর শেয়ার হোল্ডার মো. সেলিম খান বলেন, আমাদের গাড়ি হাইওয়েতে চলে, গ্রামীণ সড়কে যায় না। আমারা শুধু যেখানে গের কাটে তারই মাটি আনি। আমড়াগাছিয়া ইউপি চেয়ারম্যান সুলতান আহমদ বলেন, আমি কাউকে খালের মাটি কাটার কথা বলিনি।  
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ আরাফাত হোসেন বলেন, ফসলি জমি কেটে যদি সেখানে বালু দিয়ে ভরাট করে তাহলে জমির উর্বরতা শক্তি কমে যায়। এতে ফসলের ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। উপজেলা প্রকৌশলী (দায়িত্বরত) আজিজুর রহমান বলেন, গ্রামীণ সড়কে অতিরিক্ত লোড নিয়ে গাড়ি চালানোর নিয়ম নাই। এতে সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এজন্য স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও সচেতন লোকদের ভূমিকা রাখতে হবে। না হলে গ্রামীণ সড়ক টেকানো যাবে না। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোসা. তানিয়া ফেরদৌস জানান, কেউ যদি তার ব্যক্তিগত জমির মাটি বিক্রি করে সেক্ষেত্রে আমাদের কিছু করণীয় নাই। তবে সরকারি জমির মাটি কেটে নিলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর