বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে বারইখালী এলাকায় সীমান্তবর্তী ভাষাণ্ডা গ্রামে ঘেরের পানি নিষ্কাশনের জন্য চলাচলের সরকারি রাস্তা কেটে ফেলায় ৩ ইউনিয়নের মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছে। জনগুরুত্বপূর্ণ এ রাস্তাটি কেটে জনভোগান্তি সৃষ্টি করায় স্থানীয় সংসদ সদস্য, জেলা প্রশাসকসহ প্রশাসনের কাছে গণস্বাক্ষরিত অভিযোগ দায়ের করেছেন এলাকাবাসী।
সরজমিন জানা গেছে, বারইখালী ইউনিয়নের দক্ষিণ সুতালড়ী ভাষাণ্ডা গ্রামের পাশ দিয়ে প্রবাহিত খালের দু’পাড়ে ৩ ইউনিয়নের অর্ধশতাধিক পরিবারের বসবাস। এ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন ৩ ইউনিয়নের নারী-পুরুষ, স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসাগামী শিক্ষার্থী, চাকরিজীবীসহ হাজারো লোকের যাতায়াত। কিন্তু এ গ্রামের আব্দুল ছত্তার বয়াতির ছেলে কবির বয়াতি ও তার বোন মর্জিনা বেগমসহ চিহ্নিত এ পরিবারটি ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে সরকারি রাস্তাটি কেটে চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। গ্রামের বাসিন্দা আলম হাওলাদার, জলিল মৃধা, চান মিয়া হাওলাদার, জালাল হাওলাদার, শাহিন হাওলাদারসহ গ্রামবাসীরা জানায়, চিহ্নিত এ পরিবারটি রাস্তা কেটে চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। এজন্য আমরা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। বারইখালী ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান লাল বলেন, সরকারি রাস্তা কেটে চলাচলে বিঘ্ন ঘটানোর অধিকার কারো নেই।
রাস্তা ঠিক করার জন্য তাদের একাধিকবার বলা হয়েছে। বিষয়টি প্রশাসনকে অবহিত করা হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, রাস্তা কেটে জনভোগান্তির অভিযোগের বিষয়ে কবির বয়াতিকে একাধিকবার ডাকা হয়েছে। তিনি আসেননি। তার বিরুদ্ধে মামলা দেয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ঘের ব্যবসায়ী কবির বয়াতির বোন মর্জিনা বেগম বলেন, তার পৈত্রিক সম্পত্তিতে ১৯৯৪ সাল থেকে ঘের করে আসছে। তিনি কোনো সরকারি রাস্তা কাটেন নি। তার জমি কেটে ঘেরের পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করেছেন।