× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

লালমনিরহাটে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ

বাংলারজমিন

লালমনিরহাট প্রতিনিধি
১১ এপ্রিল ২০২১, রবিবার

লালমনিরহাটে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
জানা গেছে, বেশ কিছুদিন ধরে লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের দুইটি গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা চলছে। সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ কমিটি না থাকায় ১০ বছর ধরে কোন্দল চলছে দুই গ্রুপে। একটি গ্রুপে সাবেক সংসদ সদস্য মরহুম আবু সাঈদ দুলাল অপরটি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মতিয়ার রহমান। সাঈদ গ্রুপে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আবু জাভেদ বক্করের সমর্থন ছিল। গত পৌর নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী বক্কর কাজ করায় ক্ষেপে যায় সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মতিয়ার রহমান গ্রুপ।  জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মতিয়ার রহমানের ভাগ্নে সাবেক জেলা ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি ফারুক হোসেন সবুজ। ফারুক হোসেন সবুজ-জাভেদ বক্কর দুই গ্রুপ সৃষ্টি হয়।
দুই গ্রুপে সংঘর্ষও হয়েছে কয়েকবার। গত বৃহস্পতিবার রাতে জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মতিয়ার রহমানের ভাগ্নে সবুজের বাড়িতে কে বা কারা হামলা করে। এরই জের ধরে শুক্রবার দুপুরে জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এড. মতিয়ার রহমানের বোন লুৎফুর নেছা বাদী হয়ে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি জাবেদ হোসেন বক্করকে প্রধান আসামি করে ১৫ জন ছাত্রলীগ নেতাকে আসামি করা হয়। ছাত্রলীগ সভাপতির বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে ছাত্রলীগ শুক্রবার রাতে বিক্ষোভ মিছিল করে। শনিবার সকালে এরই প্রতিবাদে প্রতিবাদ সমাবেশ করে বক্করের পক্ষে ব্যবসায়ীরা। দুপুর ১২টায় অপর দিকে ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সাধারণ সম্পাদকের ভাগ্নে সবুজের পক্ষে পাল্টা মিছিল করে। মিছিলটি শহরের স্বর্ণকারপট্টি সড়কে এলে অপরদিক থেকে ছাত্রলীগ সভাপতি বক্কর গ্রুপের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা লাঠিসোটা নিয়ে ধাওয়া করে। দুই পক্ষ থেকে মুখোমুখি সংঘর্ষ বাধে। দুইপক্ষ লাঠিসোটা, রাম দাসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পাল্টাপাল্টি হামলা করে। খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আবু বক্কর জাভেদ জানান, বাড়িতে হামলার সময় আমি ছিলাম না। এরপরও  আমাকে প্রধান আসামি করে জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এড. মতিয়ার রহমান। অপরদিকে এডভোকেট মতিয়ার রহমান জানান, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জাভেদ বক্কর জামাত- হেফাজতদের সঙ্গে নিয়ে হামলা করেছে। তার বিরুদ্ধে চাঁদা দাবি ও টেন্ডারবাজির নানান অভিযোগ রয়েছে। সদর থানার অফিসার ইনচার্জ শাহআলম জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ। এখনো শহরের বিভিন্ন মোড়ে লাঠিসোটা নিয়ে দুই পক্ষ অবস্থান নিয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর