× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

কমলগঞ্জে শুকিয়ে যাচ্ছে বোরো ধান

বাংলারজমিন

সাজিদুর রহমান সাজু, কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) থেকে
১১ এপ্রিল ২০২১, রবিবার

কমলগঞ্জের কয়েকশ’ বিঘা জমির বোরো ধান শুকিয়ে চিটা হয়ে যাচ্ছে। ধানের থোর বের হওয়ার পর এ সমস্যা দেখা দিচ্ছে বলে কৃষকরা জানিয়েছেন।
এতে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন বোরো চাষিরা। স্থানীয় কৃষি অধিদপ্তর জানিয়েছে- আবহাওয়ার তারতম্যজনিত কারণে গরম ঝড়ো হাওয়ায় ব্যাকটেরিয়াল পেনিক্যাল ব্লাইড নামে ব্যাকটেরিয়ার কারণে এ সমস্যা দেখা দিয়েছে। বৃষ্টি হলে এ সমস্যা কেটে যাবে।  কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, শস্যভাণ্ডার খ্যাত কমলগঞ্জে চলতি মৌসুমে ৪ হাজার ৪ শত ৯০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ করা হয়েছে। এর মধ্যে বড় অংশই ব্রি ২৯ ও ব্রি-৪৮ জাতের ধান। আর বেশি আক্রান্ত হয়েছে এই দুই জাতের ধানের ক্ষেতে। উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের শ্রীপুর, গুলেরহাওর, কমলগঞ্জ ইউনিয়নের বাদে উবাহাটা, বনগাঁও, আলীনগর ইউনিয়নের চিতলীয়া, জাঙ্গালিয়াসহ উপজেলার কয়েকটি এলাকায় বোরো ধানে এ সমস্যা দেখা দিয়েছে। স্থানীয় কৃষকরা জানান, সমপ্রতি বৃষ্টিপাত ছাড়া গরম ঝড়ো বাতাস দেয়ার পর থেকে বোরো ধানের শীষ বের হওয়ার পর ধানের দুধ শুকিয়ে চিটা হয়ে ধীরে ধীরে সাদা হয়ে যাচ্ছে।
শ্রীপুর এলাকার কৃষক নজরুল ইসলাম, পারভেজ মিয়া, আব্দুল বারী, সাঞ্জু মিয়া জানান, ধানের শীষ থেকে বের হওয়ার পর প্রথমে ধান কালো হয়ে লালচে রং ধারণ করে পরে সাদা হয়ে যাচ্ছে। ধানের দুধ শুকিয়ে চিটা ধারণ করছে। এভাবে পযার্য়ক্রমে আবাদি জমির বিস্তীর্ণ এলাকায় ছড়িয়ে পড়ছে। এতে তারা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্তের আশঙ্কা করছেন। উপজেলার অন্য এলাকার বোরো ক্ষেতে একই অবস্থা। উপজেলা কৃষি বিভাগের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা জানান, আবহাওয়ার তারতম্যজনিত কারণে দিনে গরম ও রাতে কুয়াশা পড়ায় এবং বৃৃষ্টিপাত না হওয়ায় ব্যাকটেরিয়াল পেনিক্যাল ব্লাইড নামে ধানে আংশিক ক্ষতি হচ্ছে।

কৃষকদের কীটনাশক প্রয়োগসহ বিভিন্ন পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এ বিষয়টি কৃষি সমপ্রসারণ অধিদপ্তর মৌলভীবাজার জেলার উপ-পরিচালক কাজী লুৎফুল বারীকে জানালে তিনি গত শুক্রবার বিকালে উপজেলা কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাদের নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত চিতলীয়া, জাঙ্গালিয়াসহ কয়েকটি এলাকা পরিদর্শন করেন।
 কমলগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দীন বলেন, আবহাওয়ার তারতম্যজনিত কারণে বোরো ফসলের আংশিক ক্ষতি হয়েছে। আমরা কৃষকদের জমিতে পানি রাখতে পরামর্শ দিয়েছি। তবে চিন্তার কারণ নেই, কৃষকরা ধান পাবে। বৃষ্টিপাত হলে এ সমস্যা থাকবে না বলেও কৃষি কর্মকর্তা জানান।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর