× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

মাদারীপুরে নারীসহ আটক ৪ / ভুয়া মেজর সেজে চাকরি দেয়ার নামে প্রতারণা

বাংলারজমিন

রাজৈর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি
১১ এপ্রিল ২০২১, রবিবার

মাদারীপুরে এনএসআই’তে চাকরি দেয়ার নামে টাকা হাতিয়ে নেয়া প্রতারকচক্রের নারীসহ ৪ জনকে আটক করে পুলিশে দিয়েছেন স্থানীয়রা। গতকাল দুপুরে সদর উপজেলার খোয়াজপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আটকরা হলো- খুলনার পাইকগাছার লস্কারপুরের রবিউল ইসলামের ছেলে মাসুদ পারভেজ (২৯), বরগুনার পাথরঘাটার জালিয়াঘাটা এলাকার আব্দুল আজিজ হাওলাদারের ছেলে শাহীন হাওলাদার (৩২), শাহীন হাওলাদারের স্ত্রী মোসাম্মৎ শিরিন বেগম এবং মাদারীপুর সদর উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল কাইয়ুম। আটক মাসুদ পারভেজ নিজেকে সেনাবাহিনীর কর্নেল, শাহীন হাওলাদার ও তার স্ত্রী শিরিন বেগম তারা দুজন সেনাবাহিনীতে কর্মরত আছেন বলে পরিচয় দিতেন।
পুলিশ ও ভুক্তভোগীরা জানায়, সদর উপজেলার গোবিন্দপুরের আবদুল হালিমের ছেলে রনি হোসেনকে এনএসআই’তে চাকরি দেয়ার আশ্বাস দিয়ে মোটা অঙ্কের ঘুষ দাবি করেন একই গ্রামের বাসিন্দা আবদুল কাইয়ুম। প্রাথমিক পর্যায়ে রনির কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা ঘুষ নেন আবদুল কাইয়ুম। পরে গতকাল সকালে কাইয়ুমের বাড়িতে আসা মাসুদ পারভেজ নামে ভুয়া সেনাবাহিনীর কর্নেল রনির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন কাইয়ুম। তাদের সঙ্গে থাকা শাহীন ও শিরিন নামের অপর দুজনকেও সেনাবাহিনীতে কর্মরত হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়। সবার কথাবার্তা সন্দেহজনক মনে হলে রনি ও আশেপাশের লোকজন মিলে ৪ জনকে আটকে রেখে থানায় খবর দেয়।
পরে পুলিশ এসে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী রনি হোসেন জানান, আমার কাছ থেকে প্রাথমিক পর্যায়ে ২০ হাজার টাকা ঘুষ নিয়েছেন কাইয়ুম। পাশাপাশি আমার মাথার চুল তারাই মেশিন দিয়ে ছোট করে কেটে দিয়েছে। এ ছাড়া মেডিকেল পরীক্ষাও তারাই প্রাথমিকভাবে সম্পন্ন করেছে। যা সবই ভুয়া ও প্রতারণা। বিষয়টি বুঝতে পেরে থানা পুলিশকে খবর দেই। পুলিশ এসে তাদের থানায় নিয়ে যায়। পরে প্রতারকদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছি। মাদারীপুর সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. কামরুল ইসলাম মিঞা বলেন, ‘আটক চার প্রতারকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।’ এ ছাড়া অজ্ঞাত আসামি রয়েছে আরো একজন। সে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। আটকদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আটকরা গ্রামের সহজ-সরল মানুষকে বোকা বানিয়ে চাকরি দেয়ার নামে টাকা হাতিয়ে নিতেন। এসব চক্রের কাছ থেকে সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন তিনি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর