পশ্চিমবঙ্গের চতুর্থ দফার ভোটে সহিংসতায় প্রাণ হারিয়েছেন কমপক্ষে ৫ জন। এরমধ্যে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে। পাঠানটুলি নামক জায়গায় অজ্ঞাত বন্দুকধারীর গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন আরো একজন। শনিবার পুরো পশ্চিমবঙ্গজুড়েই ছিল ব্যাপক উত্তেজনা। বেশ কয়েকটি জায়গায় হয়েছে সংঘর্ষও। গুলির ঘটনা ঘটেছে কোচবিহারের শীতলকুচিতেও। সেখানে প্রাণহানি নিয়ে দুঃখপ্রকাশ ও নিন্দা জানিয়েছে প্রধান দুই দল তৃণমূল ও বিজেপি।
ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে জানানো হয়েছে, গত বুধবার শীতলকুচিতে ভোটের প্রচারে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
তারপর থেকেই এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছিল। শনিবার সকালে ভোট শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই তার বহিঃপ্রকাশ ঘটে। আনন্দ বর্মণ নামের ১৮ বছরের এক তরুণকে গুলি করে হত্যা করা হয়। গোটা ঘটনার জন্য তৃণমূলকে দায়ী করেছে আনন্দের পরিবার ও বিজেপি। তবে এই দাবি মানছে না তৃণমূল।
এ ঘটনার একটু পরেই শীতলকুচির আরেক এলাকায় সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। এতে গুলি চালায় কেন্দ্রীয় বাহিনী সিআইএসএফ। গুলিতে প্রাণ হারান ৪ জন। আহত হয়েছেন আরো বেশ ক’জন। বিষয়টি নিশ্চিত করে কোচবিহারের পুলিশ সুপার দেবাশিস ধর জানিয়েছেন, উত্তেজিত জনতাকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে আক্রান্ত সিআইএসএফ জওয়ানরা গুলি চালান। নির্বাচন কমিশনের কাছে ‘আত্মরক্ষার্থে গুলি’র রিপোর্ট দিয়েছেন রাজ্যের বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে।
এদিকে তৃণমূল প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এই ঘটনার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার দায়ী। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ইস্তফা দেয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অবশ্য করেছেন পাল্টা দাবি। তিনি বলেন, মমতা একটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ১০ বছর সরকার চালানোর পরে জনগণকে এখন শেখাচ্ছেন, কেমন করে নিরাপত্তা বাহিনীকে ঘেরাও করতে হয়, কীভাবে নিরাপত্তা বাহিনীকে পেটাতে হয়, আর কেমন করে বুথে হামলা করতে হয়।