বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গতকাল বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান। মির্জা ফখরুল বলেন, গত শনিবার নমুনা নেয়া হয়েছে। গতকাল রিপোর্ট পজেটিভ এসেছে। দেশবাসীকে আহ্বান জানাবো, খালেদা জিয়াও আহ্বান জানিয়েছেন তার রোগ মুক্তির জন্য দোয়া করবেন। ব্যক্তিগত চিকিৎসক এফ এম সিদ্দিকীর অধীনে খালেদা জিয়ার করোনা চিকিৎসা শুরু হয়েছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল 
বলেন, তিনি সম্পূর্ণরূপে স্থিতিশীল আছেন। ভালো আছেন। তার কোনো টেম্পারেচার নেই। অন্য কোনো উপসর্গও নেই। চিকিৎসা শুরু হয়েছে ইতিমধ্যে। আশ্বস্ত করতে চাই, ব্যক্তিগত চিকিৎসক যারা আছেন তাদের তত্ত্বাবধানে তিনি চিকিৎসা নিচ্ছেন।
চিকিৎসকদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলেও জানান মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, যদি কোনো প্রয়োজন হয়, সেই অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ছাড়াও তার বাসা ফিরোজার ৮ জন সদস্য করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন তার চিকিৎসক ডা. মামুন।
তিনি বলেন, ৬ দিন আগে ওনার বাসার একজন স্টাফের হালকা জ্বর ভাব ছিল। তখন তাকে আমরা করোনা টেস্ট করাই। তার রেজল্ট পজেটিভ আসে। পজেটিভ আসার পরে ওই স্টাফ যে রুমে থাকতো ওই রুমের অবস্থান করা অন্যদেরও আমরা করোনা টেস্ট করি। তখন বাকিদেরও পজেটিভ আসে। পরে আমরা ম্যাডামের নিরাপত্তার জন্য বেগম জিয়ারও করোনা টেস্ট করাই গত শনিবার। গতকাল পজেটিভ রেজাল্ট আসে। এখন পর্যন্ত ওনার বাসায় ৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
উল্লেখ্য, করোনা পরিস্থিতির কারণে দণ্ড স্থগিত করে খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে মুক্তি দেয় সরকার। তার এই মুক্তির মেয়াদ তিন দফা বাড়ানো হয়েছে। মুক্তির পর থেকে খালেদা জিয়া তার গুলশানের ভাড়া বাসা ফিরোজায় অবস্থান করছেন। বাসাতেই তার চিকিৎসা চলছে।