সে অনেক কাল আগেকার কথা; তখন লেখাপড়া জানা 'শিক্ষিতরা' কোন কথা বললে গ্রামের সহজসরল মানুষ 'বেদবাক্যে'র ন্যায় তা বিশ্বাস করতো। কিছুকাল পর এই সহজসরল মানুষগুলো উপলব্ধি করলো নিজেদের ক্ষুদ্র স্বার্থে এই 'শিক্ষিত' শ্রেণি মিথ্যা বলছে। ফলে তাদের নিরঙ্কুশ বিশ্বাসে ফাটল ধরল।
ছাপার অক্ষরের আবিষ্কার হলো। মানুষজন যেকোনো ছাপার অক্ষরে লেখা বিশ্বাস করতে শুরু করলো। এ বিশ্বাস ভাংতেও খুব বেশি সময় লাগেনি।
প্রথমে প্রিন্ট এবং পরবর্তীকালে ইলেকট্রনিক মিডিয়ার আবির্ভাব ঘটলো। এতেও কিছুদিন মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস বিদ্যমান ছিলো। মিডিয়ার প্রতি নিরঙ্কুশ মোহ ঘুচতেও খুব একটা বেশি সময় লাগেনি।
এক্ষেত্রে সর্বশেষ সংযোজন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম।
কেউ কেউ তো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দিবারাত্রি তিলকে করে তাল, আর তালকে করে তিল; আবার কখনো জীবিতকে করে মৃত, মৃতকে করে জীবিত। প্রতিনিয়ত কুৎসা রটনা ও চরিত্রহননের কথা আর নাই বা বললাম।
মানুষ অবাক হয়ে দেখলো, কোন কোন মিডিয়া গণ মানুষের স্বার্থ উপেক্ষা করে বিশেষ কোন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, জাতি, রাষ্ট্র, ধর্ম, মতবাদ ও ব্যবসায়িক এজেন্ডা বাস্তবায়নে নিয়োজিত!
লেখকঃ সহযোগী অধ্যাপক,
শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
লেখাটি ফেসবুক থেকে নেয়া।