× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

যমজ ৩ শিশু নিয়ে বিপাকে পরিবার

বাংলারজমিন

তোফায়েল হোসেন জাকির, সাদুল্লাপুর (গাইবান্ধা) থেকে
১৩ এপ্রিল ২০২১, মঙ্গলবার

দরিদ্র পরিবারের গৃহবধূ রাবেয়া  ওবগম (২৭)। একসঙ্গে জন্ম দেন ৩ কন্যাশিশু। বর্তমানে ১১ মাসে এই ৩ শিশুর চিকিৎসা ও লালন-পালনে বিপাকে পড়েছে পরিবারটি। গৃহবধূ রাবেয়া বেগমের বাড়ি গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার বদলাগাড়ি সোনারপাড়া গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের রাজা মিয়ার স্ত্রী।
রাবেয়া বেগমের স্বামী রাজা মিয়ার বসতভিটা ছাড়া অন্য কোনো সম্পদ নেই। একটি ওষুধ  কোম্পানিতে শ্রমিকের কাজ করে। সেখান থেকে যেটুকু রোজগার হয়, তা দিয়ে পরিবারের কোনোমতে জীবিকা নির্বাহ হচ্ছিলো। এরই মধ্যে এক কন্যা সন্তান জন্ম দেয় রাবেয়া।
এই সন্তানের বয়স যখন ৩ বছর, তখন একইসঙ্গে রাবেয়ার কোলজুড়ে পৃথিবীতে আসে আরো তিন কন্যাশিশু। এই জমজ শিশুদের বয়স এখন ১১ মাস। দরিদ্র পরিবারে জন্ম নেয়া ওই ৩ শিশু- সিন, সিনতী ও সিনহাকে নিয়ে দিশাহারা হয়ে পড়েছে পরিবারটি।
একদিকে ঠিকমতো চলে না সংসার। অন্যদিকে জমজদের বাড়তি খাবার হিসেবে ‘বেবি কেয়ার’ নামের খাদ্য দিতে হয়। এতে করে প্রতিদিন খাবার প্রয়োজন হয় ২০০ টাকার। এ ছাড়াও রাবেয়াসহ
শিশুদের অসুখ লেগেই রয়েছে। এসবের খরচ যোগাতে আত্মীয়-স্বজনদের কাছ  থেকে ঋণ নেয়াসহ এনজিও সংস্থা থেকেও নিয়েছে ঋণ। এইসব ঋণের ঘানিও টানতে হচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে। এ অবস্থায় নিঃস্ব হয়ে পড়েছে পরিবারটি। আগের এক মেয়েসহ জমজ ৩ শিশুকে নিয়ে  বেকায়দায় পড়েছে। শিশুদের ঠিকভাবে খাদ্য দিতে না পারায় ক্ষিধের জ্বালায় প্রায়ই কান্নাকাটি করছে শিশুরা। রাবেয়া বেগম জানান, গত বছরের ২২শে এপ্রিল গাইবান্ধার একটি বেসরকারি হাসপাতালে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে একইসঙ্গে ৩টি কন্যা সন্তান জন্ম দেন। পেটের কাটা স্থানটি এখনো সমস্যা করে। মাঝে মধ্যে ব্যথা অনুভূত হয় তার। তিনি আরো বলেন, প্রসবকালীন সময় থেকে অনেক টাকা ঋণগ্রস্ত হয়েছি। সেটি পরিশোধ করার উপায় নেই। সম্প্রতি সাদুল্লাপুর উপজেলায় যত্ন প্রকল্পের আওতায় শিশুভাতা কার্যক্রম চালু হয়েছে। জনপ্রতিনিধিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে সেটিও আমার কপালে জোটেনি। বনগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান শাহীন সরকার জানান, যত্ন প্রকল্পের আওতায় রাবেয়ার যমজ শিশুদের কাগজপত্র নেয়া হয়েছে। দেখা যাক কিছু ব্যবস্থা করা যায় কিনা।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর