খুলনা মহানগরীর ৩১নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা মো. বাবুল কাজী (৬০) মারা গেছেন। গত রোববার দিবাগত রাত ১১টার দিকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি মারা যান।
জানা যায়, স্বাধীনতা দিবসে দেশের কয়েকটি স্থানে শান্তিপূর্ণ মিছিলে গুলিবর্ষণে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচিতে অংশ নিতে গিয়ে ২৯শে মার্চ বেলা ১১টায় নগরীর কেডি ঘোষ রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন বিএনপি নেতা বাবুল কাজী। পুলিশের লাঠির আঘাতে তার মাথা রক্তাক্ত জখম হয়েছিল। সেদিনের পর আর সুস্থ হয়ে ওঠেননি তিনি। নিহতের পারিবারিক সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে। বিএনপি নেতা এইচএম আসলাম হোসেন জানান, গতকাল রাতে হঠাৎ করেই অসুস্থতা বাড়ে। পরে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়।
সেখানে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তার ব্রেনে রক্তক্ষরণ হয়েছিল। সেই আঘাত সেরে ওঠা হলো না বিএনপি’র নিবেদিত কর্মী বাবুল কাজীর। দলের প্রতি তিনি ছিলেন অত্যন্ত অনুগত, বিশ্বস্ত, ত্যাগী ও পরিশ্রমী। বিএনপি’র রাজনীতি করার কারণে শেষ পর্যন্ত জীবনও দিয়ে গেলেন তিনি। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বাবুল কাজীর প্রতি দলীয় সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য দুপুর ১২টায় কেডি ঘোষ রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে নেয়া হয় তার কফিন। সেখানে বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ শেষ শ্রদ্ধা জানান। জোহরবাদ নগরীর দক্ষিণ মোল্লাপাড়া জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে মরহুমের নামাজে জানাজা শেষে হাজী আব্দুল মালেক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হয়। উল্লেখ্য, দেশের বিভিন্ন স্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ১৭ জন মানুষ নিহত হওয়ার প্রতিবাদে বিএনপি’র কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি গত ২৯শে মার্চ দেশব্যাপী প্রতিবাদ বিক্ষোভ কর্মসূচি খুলনায় পালনকালে বেলা সাড়ে ১১টায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের অতর্কিত হামলায় ২০ জন আহত হয়। মারাত্মক আহত হন ৩১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি নেতা মোহাম্মাদ বাবুল কাজী। গত রোববার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরো অসুস্থ হয়ে পড়লে পরিবারের সদস্যরা চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।