গত ৭ই এপ্রিল দৈনিক মানবজমিনে প্রকাশিত ‘মাতৃত্বকালীন ভাতার টাকা আত্মসাৎ’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হলে দশমিনায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়। পরে গতকাল উপজেলার রণগোপালদী ইউনিয়নের জৌতা গ্রামের মো. হারুন আকনের মেয়ে লিমা বেগম ও একই এলাকার আ. হক এর মেয়ে ফাতেমা বেগমকে তাদের মাতৃত্বকালীন ভাতার আট হাজার ৪০০ টাকা ফেরত দেয়া হয়েছে। তবে গুলি আউলিয়াপুর গ্রামের মোস্তফা দালালের মেয়ে আয়শা মনিকে এখনো টাকা দেয়া হয়নি। গত ৬ই এপ্রিল ওই তিনজন ২০১৭-১৮ অর্থবছরের মতৃত্বকালীন ভাতার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। জানা যায়, রণগোপালদী ইউনিয়নের দুই নম্বর ওয়ার্ডের নিকুঞ্জ কুমারের স্ত্রী নূপুর রানী মাতৃত্বকালীন ভাতার টাকা উত্তোলন করতে এসে জানতে পারেন কে বা কারা ব্যাংক থেকে তার টাকা উত্তোলন করে নিয়ে গেছেন। তাছাড়া আলীপুর ইউনিয়নের দুই নম্বর ওয়ার্ডের মনির শরীফের স্ত্রী রুজিনা বেগম এবং দশমিনা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সানাউল গাজীর স্ত্রী নার্গিস বেগম ভাতার টাকা না পেয়ে মহিলা বিষয়ক দপ্তরে অভিযোগ করেন। উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন পালোয়ান জানান, প্রায় শতাধিক মহিলার মাতৃত্বকালীন ভাতার টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ রয়েছে। এ ব্যাপারে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা জেসমিন আক্তার জানান, এ ঘটনায় অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর ইখতিয়ার উদ্দিনকে গত রোববার অফিসিয়ালি কারণ দর্শাও নোটিশ দেয়া হয়েছে এবং সোনালী ব্যাংক দশমিনা শাখায় মাতৃত্বকালীন ভাতার হিসাব বিবরণী চাওয়া হয়েছে।
সোনালী ব্যাংক দশমিনা শাখার ম্যানেজার মো. আব্দুল্লা আল মামুন জানান, ব্যাংক বিবরণী প্রস্তুত করে ২-১ দিনের মধ্যে মহিলা বিষয়ক দপ্তরে প্রেরণ করা হবে।