বালাগঞ্জ উপজেলার পূর্ব গৌরীপুর ইউনিয়নের মুসলিমাদ গ্রামে গড়ে ওঠা চৌধুরী বাজারের নাম পরিবর্তনের পাঁয়তারায় স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। বাজারের নাম পরিবর্তনের হীন উদ্দেশ্যে স্থানীয় কতিপয় ব্যক্তি সমপ্রতি বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন দিয়ে প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। পূর্ব গৌরীপুর ইউনিয়নের বাসিন্দাদের বৃহত্তর স্বার্থে ও সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধিকরণে চৌধুরী বাজার নামে অনুমোদন প্রদানের লক্ষ্যে ২০০৯ সাল থেকে প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিকট একাধিকবার আবেদন করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় চৌধুরী বাজার নামে হাট-বাজার অনুমোদনে ২০১৯ সালের ৩রা ফেব্রুয়ারি এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে প্রশাসনিক বিভিন্ন দপ্তর এবং ২০২০ সালের ৭ই ফেব্রুয়ারি বালাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট একটি লিখিত আবেদন দেয়া হয়।
আবেদনে বলা হয়েছে, চৌধুরী বাজার ও আশেপাশের প্রায় ৯৫ ভাগ ভূমি মুসলিমাবাদ গ্রামের চৌধুরী পরিবারের মালিকানাধীন। কায়স্থঘাট মৌজার অন্তর্ভুক্ত জেএল নং- ২৩৭ এর ১৫০০ ও ১৯৩০ নং খতিয়ান হতে বেশকিছু ভূমি চৌধুরী বাজারের নামে রেজিস্ট্রি (সাব কবলা) করে দিয়েছেন ভূমি মালিকগণ। অনুসন্ধানে জানা গেছে, ব্যবসায়ীদের বাণিজ্যিক মিটারের বিদ্যুৎ বিলে চৌধুরী বাজার উল্লেখ রয়েছে। পূর্ব গৌরীপুর ইউনিয়ন পরিষদের ডিজিটাল সেন্টার’র হাট-বাজারের তালিকায় এটি ‘চৌধুরী বাজার’ নামে নামকরণ রয়েছে।
ইউনিয়ন পরিষদ থেকে চৌধুরী বাজার নামে ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে বাজারের ব্যবসায়ীরা ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। এমনকি গুগল ম্যাপেও বাজারটির নাম চৌধুরী বাজার নামে প্রদর্শিত হচ্ছে।
এদিকে, বাজারের নামকরণ নিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করতে কতিপয় স্বার্থান্বেষী মহল বিগত দিনে চৌধুরী বাজারের অতি সন্নিকটে জনৈক ব্যক্তির নামে অবৈধভাবে একটি সাইনবোর্ড সাঁটিয়ে রাখা হয়। অবৈধ সাইনবোর্ড অপসারণের জন্য ২০১৮ সালের ২৫শে নভেম্বর মুসলিমাবাদ গ্রামের লোকজন জেলা প্রশাসকের নিকট লিখিত অভিযোগ করেন। মুসলিমাবাদ গ্রামের বাসিন্দারা বলেন, ডিসির কাছে আবেদন দেয়ার পর জনৈক ব্যক্তির পক্ষ থেকে চৌধুরী পরিবারের বিরুদ্ধে নানাভাবে অপপ্রচার চালিয়ে বাজারের নামকরণ নিয়ে মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়ানো হয়। চৌধুরী বাজার নামকরণ স্বীকৃতির চূড়ান্ত অনুমোদন প্রদানে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিকট এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে জোর দাবি জানানো হয়েছে।